সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউনের মাঝেও মসৃণ থাকবে ব্যাংকিং পরিষেবা। আগেই এই আশ্বাস দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। তাঁর ঘোষণা অনুযায়ী এবার চলতি আর্থিক বর্ষের একেবারে শেষদিন অর্থাৎ ৩০ মার্চ সবক’টি ব্যাংক খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। আগামিকাল, সোমবার জনসাধারণের সুবিধার জন্য খোলা থাকবে সমস্ত সরকারি ব্যাংক। তবে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে, নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখেই চলবে কাজ – গ্রাহক এবং কর্মীদের এই মর্মে নির্দেশিকাও জারি করেছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। ব্যাংকের নিজস্ব নিয়ম অনুযায়ী, ৩১ মার্চ ব্যাংক বন্ধ থাকবে এবারও। পরের দু’দিন – ১ ও ২ এপ্রিলও রামনবমীর জন্য ছুটি ব্যাংক। তাই নতুন মাসে যাতে অসুবিধা না হয়, তার জন্য এই সিদ্ধান্ত।
ঠিক হয়েছিল, লকডাউনের মাঝে দেশজুড়ে ব্যাংকের কাজকর্ম স্বাভাবিক রাখা হবে। সীমিত কর্মী নিয়ে পরিষেবা প্রদানের কাজ চলবে। সেইমতো যে কোনও অঞ্চলে একটি নির্দিষ্ট ব্যাংকের শাখা খোলা থাকবে। অন্যান্য ব্যাংকের গ্রাহকরাও সেখানে গিয়ে প্রয়োজনীয় কাজ করতে পারবেন। খোলা থাকবে সবকটি এটিএমও। তবে বুধবার লকডাউন শুরু হওয়ার পর শুক্রবারই খবর আসছিল, বিভিন্ন শহরের এটিএমগুলিতে পর্যাপ্ত টাকা অমিল। ব্যাংকে গিয়েও ঠিকমতো পরিষেবা মিলছে না বলে অভিযোগও উঠছিল। এসব সমস্যা দূর করতে শনিবার নিজে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। প্রতিটি ব্যাংকের অধিকর্তার সঙ্গে এককভাবে কথা বলেন। তারপরই তাঁর ঘোষণা, জনসাধারণের যে কোনও প্রয়োজনে ব্যাংক পরিষেবা পাওয়া যাবে। এটিএমগুলিতে পর্যাপ্ত ক্যাশ রাখার নির্দেশও তিনি দিয়েছেন।
নির্মলা সীতারমণ বলেন, ”আমি নিজে সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকের অধিকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। এই পরিস্থিতিতে তাঁরা কীভাবে কাজ করছেন তা জানতে এবং তাঁদের আরও উৎসাহিত করতে এই আলোচনা। তাঁরা সকলে আমাকে নিশ্চিত করেছেন যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে গ্রাহকদের সুবিধার্থে যে কোনও কাজে তাঁরা প্রস্তুত। কাজেই, আপনাদের কোনও অসুবিধা হবে না।” সূত্রের খবর, এই লকডাউনের জেরে সময়মতো বেতন পেতে কারও অসুবিধা হবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন ব্যাংক কর্তারা। বিশেষত ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত। সুতরাং, এপ্রিলে মাস পয়লায় বেতন হবে বলেই আশা করছেন জনসাধারণ।
প্রতি বছরই অর্থবর্ষের শেষদিকে বিভিন্ন হিসেবনিকেশ মেটানো, কাজ গুছিয়ে চূড়ান্ত রিপোর্ট পেশ করার জন্য ব্যাংকগুলির উপর চাপ থাকে। এবছর পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা। মহামারি করোনা ভাইরাস সংক্রমণের জেরে লকডাউন দেশজুড়ে। ব্যাংকের মতো পাবলিক সেক্টরের কাজও ঝুঁকিপূর্ণ। তাই জমায়েত এড়াতে নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট ব্যাংকের শাখা খোলার পরিকল্পনা ছিল। তবে ৩০ মার্চ, আর্থিক বছরের শেষ দিনে খোলা থাকবে সবই। নিজের প্রয়োজনমতো কাজ করতেই পারেন। শুধু নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.