প্রণব সরকার, আগরতলা: বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদ করতে গিয়ে ত্রিপুরার বাংলাদেশি দূতাবাসে হামলা! সোমবার আগরতলায় বাংলাদেশ ইস্যুতে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখায় ত্রিপুরেশ্বরী সনাতন মন্ত্র ও হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি নামের দুই হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। অভিযোগ, সেই বিক্ষোভ চলাকালীনই আগরতলায় বাংলাদেশের দূতাবাসে হামলা হয়েছে।
এদিন ভোরে ত্রিপুরেশ্বরী সনাতন মন্ত্র ও হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি নামের দুই সংগঠন বাংলাদেশের অ্যাসিস্ট্যান্ট হাই কমিশনারের দপ্তর দীর্ঘক্ষণ ঘেরাও করে রাখে। দীর্ঘ সময় চলে অবরোধ। শেষপর্যন্ত পুলিশ গিয়ে অবরোধ মুক্ত করে। সেখানে বাংলাদেশের পতাকা পোড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ। আসলে বাংলাদেশে ভারতীয় বাস আক্রান্ত হওয়ার পরই ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে গোটা ত্রিপুরায়। রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালগুলি বাংলাদেশিদের চিকিৎসা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একইভাবে হোটেলগুলোও জানিয়েছে তারা কোনও বাংলাদেশিকে আশ্রয় দেবে না। মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা জানিয়েছেন পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
দূতাবাসে হামলার এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে ঢাকা। বাংলাদেশের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের প্রাঙ্গণে হিন্দু সংঘর্ষ সমিতির বিক্ষোভকারীদের একটি বড় দলের হিংসাত্মক বিক্ষোভ ও হামলার ঘটনায় বাংলাদেশ সরকার ব্যাপক ক্ষুব্ধ। ঘটনাপ্রবাহ প্রমাণ করে, বিক্ষোভকারীদের পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনের প্রধান ফটক ভেঙে প্রাঙ্গণে আগ্রাসনের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। প্রাঙ্গণ রক্ষার দায়িত্বে থাকা স্থানীয় পুলিশ কর্মীরা শুরু থেকেই নিষ্ক্রিয় ছিলেন।”
এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে নিন্দা করেছে নয়াদিল্লিও। দিল্লির তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলা হয়েছে, “কূটনৈতিক এবং কনস্যুলার বিষয়ক সম্পত্তি কোনও অবস্থাতেই লক্ষ্য হওয়া উচিত নয়”। বিবৃতিতে এই স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে। দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন কার্যালয় এবং দেশের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন কার্যালয়গুলিতে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.