সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনসুকিয়া গণহত্যার প্রতিবাদে চলছে ২৪ ঘণ্টার বরাক বনধে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে৷ সারা ভারত নমঃশূদ্র বিকাশ পরিষদ-সহ রাজ্যের ১৪টি সংগঠনের ডাকা বনধে স্তব্ধ কাছাড়, করিমগঞ্জ ও হাইলাকান্দি জেলা৷ বন্ধ দোকান-বাজার-স্কুল-কলেজ ও সরকারি দপ্তর৷ তবে, বনধের আওতা থেকে জরুরি পরিষেবাগুলি ছাড় দেওয়া হয়েছে৷ এদিন সকালে বনধের সমর্থনে কংগ্রেস ও সিপিএম-সহ বেশ কিছু গণ সংগঠনের কর্মীদের মিছিল করতে দেখা যায়৷ বরাক উপত্যকার পাশাপাশি উজান অসম-সহ গোটা অসমজুড়ে বনধের ডাক দিয়েছে অল অসম বেঙ্গলি ইয়ুথ স্টুডেন্টস ফেডারেশন৷ তবে, গোটা রাজ্যজুড়ে বনধে খুব বেশি প্রভাব না পড়লেও থমথমে পরিস্থিতি তৈরি হয়ে রয়েছে৷ রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকা৷ পথে উধাও বাস৷ অশান্তি এড়াতে প্রাণের ঝুঁকি নিতে চাইছেন অসমের ভূমিপুত্ররাও৷ তবে, বরাক-সহ কাছাড়, করিমগঞ্জ ও হাইলাকান্দি জেলায় বনধের প্রভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে৷ সকাল থেকে বনধের সমর্থনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফে পিকেটিং করা হলেও পুলিশি নিরাপত্তা সেভাবে চোখে পড়েনি স্থানীয় বাসিন্দাদের৷
অসমের তিনসুকিয়ায় পাঁচ বাঙালি যুবককে হত্যার ঘটনায় বরাত জোরে বেঁচে গিয়েছেন সহদেব নমঃশূদ্র। যেখানে ওই পাঁচ যুবককে বৃহস্পতিবার হত্যা করা হয়েছিল সেই ব্রহ্মপুত্র নদের চরে দাঁড়িয়ে শুক্রবার একটি সর্বভারতীয় টিভি চ্যানেলের ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে ঘটনার বর্ণনা দিচ্ছিলেন তিনি। সহদেবের চাঞ্চল্যকর দাবি, যতই অস্বীকার করুক এই ঘটনায় উলফা জঙ্গিরাই জড়িত। কারণ হামলাকারীরা জলপাই রঙের সেনা পোশাক পরে এসেছিল। উলফা ছাড়া অসমে কোনও দুষ্কৃতী বা সংগঠন সেনা পোশাক ব্যবহার করে না। ওরা সবাই অসমীয়া ভাষায় কথা বলছিল। ওদের কথাবার্তা, শরীরী ভাষা এবং সঙ্গে থাকা অস্ত্রই বলে দিচ্ছিল ওরা উলফার লোক। তাঁর আশঙ্কা, হিন্দু বাঙালিদের মারতে ওরা আবার হামলা চালাবে।
[বিয়ের ছ’মাসের মধ্যেই ডিভোর্সের মামলা করলেন তেজপ্রতাপ]
বরাত জোরে বেঁচে যাওয়া গরিব গ্রামবাসী সহদেবের অভিযোগ, পুলিশের যোগসাজশ ছাড়া এটা হতে পারে না। যে জায়গায় পাঁচ জনকে গুলি করা হয় সেখান থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরেই পুলিশ পাহারা থাকে। বৃহস্পতিবার সেখানে পুলিশ ছিল না। চাইরালি বলে সেই জায়গায় পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে ডিউটিই করেনি। এমনকি গুলি চালনার পর পুলিশকে বারবার ডাকা হলেও তারা আসেনি। তাদের ফোন সুইচড্ অফ ছিল। পুলিশও ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। তা না হলে রোজই যারা পাহারায় থাকে, কালই কেন ছিল না? ওই ঘটনার প্রতিবাদে অসম বনধের ডাক দেয় সারা ভারত নমঃশূদ্র বিকাশ পরিষদ সহ রাজ্যে ১৪টি সংগঠন৷ শনিবার সকাল থেকেই জনজীবন অচল হয়ে পড়েছে তিনসুকিয়া ও সংলগ্ন মার্গারিটায়। অসমের অন্যান্য জায়গায় খুব একটা জনজীবনে বনধের প্রভাব না পড়লেও তিনসুকিয়া একেবারে স্তব্ধ৷ বিভিন্ন জায়গায় চলছে বিক্ষোভ৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.