সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নতুন বছর সদ্য গতি পেয়েছে। গোড়া থেকেই চালিয়ে খেলছেন বিজেপি নেতা, মন্ত্রী, সাংসদরাও। একদিকে মঙ্গলবার রাজ্যসভায় পেশ হচ্ছে তিন তালাক বিরোধী বিল। হজে মহিলাদের একা যাওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় আলোচনা তুঙ্গে। ঠিক তখনই দেশের মুসলিম বাসিন্দাদের নিয়ে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য বিজেপি নেতাদের। এবার মুসলিমদের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিতর্ক বাড়িয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং।
[ সেনার চাকরি করলে মরতেই হবে, জওয়ানদের ‘অপমান’ বিজেপি সাংসদের ]
মঙ্গলবার তিনি মুসলিমদের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যাই দেশের উন্নতির পথে বাধা বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, “দেশের জনসংখ্যা যেভাবে বাড়ছে, বিশেষত মুসলিম জনসংখ্যা যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তা দেশের সামাজিক কাঠামো ও নকশাই ভেঙে দিচ্ছে। উন্নতিও বাধা পাচ্ছে।” খোলাখুলিভাবেই হিন্দুত্বের পক্ষে সওয়াল করেছেন তিনি। কেরল থেকে বিহার, বিভিন্ন জায়গার নমুনা টেনে মন্ত্রীর বক্তব্য, যেখানে যেখানে হিন্দু জনসংখ্যা কমেছে, সেখানে সেখানে এই সামাজিক ভারসাম্য চলে গিয়েছে। উলটে বেড়েছে মুসলিম জনসংখ্যা। তাতে হিতে বিপরীত হয়েছে।
[ ‘হিন্দুস্তান শুধুমাত্র হিন্দুদের’, বিতর্কিত মন্তব্য বিজেপি বিধায়কের ]
এই অবশ্য প্রথমবার নয়। এর আগেও মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেছেন গিরিরাজ। তিনি জানিয়েছিলেন, দেশে মুসলিম জনসংখ্যা এতটাই বেড়েছে যে আর তাদের সংখ্যালঘু তকমা দেওয়া যায় না। বরং সংখ্যালঘু শব্দটি নিয়েও নতুন করে ভাবার সময় এসেছে। এদিনও ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সেকথাই বললেন মন্ত্রী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাঁর মত, উন্নয়ন ও জনসংখ্যার সম্পর্কভিত্তিক নিয়ে কোন সঠিক সূচক নেই। ফলে এ নিয়ে আরও আলোচনা হওয়া উচিত। এবং আইন আনা উচিত।
[ মহিলাদের হজযাত্রা প্রসঙ্গে মোদিকে তীব্র আক্রমণ মুসলিম ল বোর্ডের ]
এদিন আর এক বিজেপি নেতা বিক্রম সাইনিও বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। তাঁরও নিশানায় দেশের মুসলিমরা। হিন্দুস্থান শুধু হিন্দুদের বলেই বিতর্ক বাড়িয়েছেন এই নেতা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অবশ্য নেতা-মন্ত্রীদের বিতর্কিত মন্তব্য থেকে বিরত করতে চেয়েছিলেন। স্পষ্ট বার্তাও দিয়েছিলেন সে বিষয়ে। কিন্তু স্থানীয় রাজনীতি জাতীয় রাজনীতির ধার ধারে না। মোদির উন্নয়ন যজ্ঞ ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতিতে অনেকক্ষেত্রেই কাজ করে না। এমনকী গুজরাট নির্বাচনের মতে হাই ভোল্টেজ ভোটের আসরেও তা প্রত্যাশিত ফল দিতে পারেনি। ফলে স্থানীয় ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতে নেতারা পুরনো বিষোদ্গারের পথেই হেঁটেছেন। এবং এ জিনিস যে জারি থাকবে বছরের গোড়াই যেন তার পূর্বাভাস দিয়ে দিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.