Advertisement
Advertisement

সাংবাদিককে প্রকাশ্যে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার হুমকি, বিতর্কে অসমের নেতা

দেখুন ভিডিও।

Badruddin Ajmal threatens scribe
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:December 27, 2018 10:06 am
  • Updated:December 27, 2018 10:06 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজনেতা থেকে অভিনেতা৷ পুলিশই হোক বা সেনা৷ ‘গণতন্ত্রের ধ্বজাধারী’দের হাতে সংবাদমাধ্যমের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়৷ এবার অসমে এক সাংবাদিককে কুৎসিত ভাষায় গালিগালাজ করলেন ‘অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট’ (এআইইউডিএফ) প্রধান বদরুদ্দিন আজমল৷ এমনকি ওই সংবাদকর্মীকে প্রকাশ্যে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেন ওই রাজনেতা৷

দলের নামে কায়দা করে ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট শব্দ দুটি জুড়লেও, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভকে তিনি কতটা সন্মান করেন তা এই ঘটনায় পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে৷ সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, অসমে সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী দলীয় প্রার্থীদের সংবর্ধনায় দক্ষিণ শালমারা মানকাছার জেলার হাট সিঙ্গিমারি এলাকায় একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এআইইউডিএফ৷ দলের অন্যান্য শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে সেখানে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ আজমলও৷ যথারীতি আসন্ন লোকসভা নির্বাচন নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা৷ কাকে সমর্থন করবেন প্রশ্ন করা হলে আজমল জানান, তাঁর সমর্থন থাকবে বিজেপি বিরোধী মহাজোটের প্রতি৷ এপর্যন্ত সব ঠিকই ছিল৷ তারপরই স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, কেন্দ্রে যে দল ক্ষমতায় আসবে তাকেই কি আজমল সমর্থন করবেন? এই প্রশ্নে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেন এআইইউডিএফ প্রধান৷ অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন তিনি৷ অভিযোগ তোলেন ওই সাংবাদিক নাকি বিজেপির থেকে ঘোষ নিয়েছে৷ তবে এতেই ক্ষান্ত থাকেননি ওই সাংসদ৷ আরেক সাংবাদিকের হাত থেকে মাইক কেড়ে নিয়ে তা দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেন আজমল৷ 

Advertisement

এদিকে সাংবাদিক হেনস্তার এহেন ঘটনায় রাজ্যজুড়ে বয়ে গিয়েছে নিন্দার ঝড়৷ আজমলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার দাবি জানিয়েছেন অনেকেই৷ তবে নিজের কুকর্মে বিন্দুমাত্র অনুতপ্ত নন এআইইউডিএফ প্রধান৷ পালটা আক্রান্ত সাংবাদিককেই ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি জানিয়েছেন তিনি৷ উল্লেখ্য, চলতি মাসেই অসমে পঞ্চায়েত নির্বাচন শেষ হয়েছে৷ নাগরিকপঞ্জি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের ধাক্কা সামলে ভাল ফল করেছে ক্ষমতাসীন বিজেপি৷ হারানো জমি কিছুটা হলেও উদ্ধার করেছে কংগ্রেস৷ তবে ধাক্কা খেয়েছে আঞ্চলিক দল এজিপি৷ পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের অনেকেই এআইইউডিএফ-এর পরিবর্তে কংগ্রেসেই আস্থা রেখেছেন৷ ফলে কিছুটা হলেও উদ্বিগ্ন আজমল৷                                                                                 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement