সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্ণাটকের পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনে নিষিদ্ধ পিএফআই এবং বিজেপি সমর্থকদের জোট! রামধনু জোটের খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল জাতীয় রাজনীতিতে। কংগ্রেস বলছে, যে পিএফআইকে খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসাবে দাবি করেছেন, যে পিএফআইকে নিষিদ্ধ করাকে বুক বাজিয়ে নিজেদের সাফল্য হিসাবে বর্ণনা করছে বিজেপি। সেই পিএফআইকেই শেষে সমর্থন করছে ক্ষমতার লোভে।
বস্তুত, কর্নাটকের দক্ষিণ কন্নডা জেলার তালাপাঠি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হয়েছেন নিষিদ্ধ পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (পিএফআই)-এর রাজনৈতিক শাখা এসডিপিআইয়ের টি ইসমাইল। তাঁকে প্রধান হয়েছেন ওই পঞ্চায়েতে জয়ী দুই বিজেপি কর্মী! তালাপাঠি পঞ্চায়েতে মোট ২৪ জন সদস্য। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এই ২৪ আসনের মধ্যে বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীরা জিতেছেন ১৩টি আসন, এসডিপিআই সমর্থিত প্রার্থীরা জিতেছেন ১০টি আসন। কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থী জিতেছেন একটি আসন। স্বাভাবিকভাবেই প্রধান পদ পাওয়ার কথা ছিল বিজেপির।
কিন্তু বোর্ড গঠনের দিন দেখা গেল বিজেপির দুই জয়ী প্রার্থী ক্রস ভোট করলেন SDPI- প্রার্থী ইসমাইলের সমর্থনে। কংগ্রেস কোনও পক্ষে ভোট দেয়নি। ফলে প্রধান পদ দখলের লড়াই টাই হয়ে যায়। টসে জিতে প্রধান হন SDPI-এর ইসমাইল। আর বিজেপির পুষ্পাবতী শেট্টি সর্বসম্মতিক্রমে ওই পঞ্চায়েতের উপপ্রধান হন। অর্থাৎ প্রধান SDPI-এর এবং উপপ্রধান বিজেপির। এই রামধনু জোটের খবর প্রকাশ্যে আসতেই অস্বস্তিতে পড়ে যায় গেরুয়া শিবির।
যদিও বিজেপি এই পুরো খবর অস্বীকার করেছে। তাঁদের দাবি, কর্ণাটকে নির্বাচনে কোনও দলীয় প্রতীকে ভোট হয় না। সুতরাং এই সমীকরণের প্রশ্নই উঠছে না। যদিও বিরোধীরা বলছে, প্রতীকে ভোট না হলেও সব দলের সমর্থিত প্রার্থীই থাকেন। আর বিজেপি নিজেদের কর্মীদের দায় অস্বীকার করতে পারেন না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.