সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাঝ আকাশে প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু। ছয় মাস বয়সি শিশুর এই আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঈশ্বরের দূত হয়ে দেখা দিলেন বিমানের দুই চিকিৎক। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় অক্সিজেন জোগান দেওয়া হল শিশুর শরীরে। বেশ খানিকক্ষণ পরে শিশুটির অবস্থা স্থিতিশীল হয়। পরে দিল্লি (Delhi) বিমানবন্দরে নেমে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় অসুস্থ শিশুটিকে। রাঁচি (Ranchi) থেকে দিল্লিগামী ইন্ডিগো (Indigo) বিমানের এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই দুই চিকিৎসকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটিজেনরা।
জানা গিয়েছে, ছয় মাস বয়সি ওই শিশুটি জন্ম থেকেই হৃদপিণ্ডের সমস্যায় ভুগছে। চিকিৎসার জন্যই তার বাবা-মা তাকে দিল্লিতে নিয়ে যাচ্ছিলেন। রাঁচি থেকে উড়ান শুরু হওয়ার মিনিট কুড়ি পর থেকেই শিশুটির প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তার বাবা-মা। সঙ্গে সঙ্গেই বিমানকর্মীদের ডাকে ছুটে আসেন দুই যাত্রী। তাঁদের মধ্যে একজন আইএএস অফিসার। দুই চিকিৎসক মিলে শিশুটির দেখভাল শুরু করেন।
শিশুদের শরীরে অক্সিজেন দেওয়ার মতো মাস্ক ছিল না বিমানে। কিন্তু বড়দের মাস্ক ব্যবহার করেই শিশুটিকে অক্সিজেন দেওয়া শুরু করেন দুই চিকিৎসক। এছাড়াও বেশ কয়েকটি আপৎকালীন ওষুধ দেওয়া হয় শিশুটিকে। ইনজেকশনও দেওয়া হয়। কিন্তু অক্সিমিটার না থাকায় শিশুটির শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ বোঝা যাচ্ছিল না। ফলে নানা সমস্যার মধ্যেই শিশুটিকে সুস্থ করার চেষ্টা চালিয়ে যান দুই চিকিৎসক। প্রায় কুড়ি মিনিটের অক্লান্ত পরিশ্রমের পর শিশুটির শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক হয়।
দিল্লি বিমানবন্দরে নামার পর শিশুটিকে নিয়ে যাওয়া হয় এইমসে। তবে উড়ন্ত বিমানে প্রতিকূলতার মধ্যেই যেভাবে একরত্তির প্রাণ বাঁচিয়েছেন দুই চিকিৎসক, তাঁদের বাহবা জানিয়েছেন সহযাত্রীরা। জানা গিয়েছে, বর্তমানে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি নীতিন কুলকার্নি ও মোজাম্মিল ফিরোজ- দুই চিকিৎসক মিলেই শিশুটিকে সুস্থ করে তুলেছেন। তাঁদের ‘ঈশ্বরের দূত’ বলে বাহবা দিয়েছেন নেটিজেনরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.