Advertisement
Advertisement
Babri Masjid demolition in Bengali News

বাবরি ধ্বংস মামলা: রায়দানের আগে জেনে নিন এই মামলার খুঁটিনাটি এবং ইতিহাস

আডবানীদের শাস্তির সম্ভাবনা কতটা? কেন ভয় পাচ্ছেন অভিযুক্তরা।

Babri Masjid demolition case in Bengali News: All you need o know in the case ageints Lal Krishna Advani, Murli Manohar Joshi | Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:September 30, 2020 8:55 am
  • Updated:October 1, 2020 12:47 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় ৩ দশকের দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ার অবসান। আজ লখনউয়ের এক বিশেষ সিবিআই আদালতে বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলার (Babri Masjid demolition case) চূড়ান্ত রায়দান। ওই আদালতের বিচারক এস কে যাদবকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রায়দান প্রক্রিয়া শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।

এক নজরে মামলার খুঁটিনাটি:

Advertisement
  • এই মামলার মোট অভিযুক্ত ছিলেন ৪৮ জন। তবে দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন ১৬ জন অভিযুক্তের মৃত্যু হয়েছে। অভিযুক্তদের তালিকায় আছেন এল কে আডবানী (Lal Krishna Advani), মুরলীমনোহর যোশী (Murli Manohar Joshi), কল্যাণ সিং, উমা ভারতী, সাক্ষী মহারাজের মতো বিজেপি নেতারা।
  • জীবিত ৩২ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আজ সাজা শোনাবে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। মামলার মূল বিচার্য বিষয়, বাবরি ধ্বংস এই অভিযুক্তদের পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র কিনা।
  • ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি ধ্বংস মামলায় দুটি মূল FIR দায়ের হয়। প্রথমটি ছিল লক্ষ লক্ষ করসেবকদের বিরুদ্ধে, যারা নিজের হাতে মসজিদটি ধ্বংস করেন। দ্বিতীয়টি আডবানী, যোশীদের মতো নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে।

[আরও পড়ুন: আন্দোলনের ফল, আদিবাসীদের জঙ্গলের পাশে বাড়ি তৈরির অনুমতি দিল মহারাষ্ট্র সরকার]

  • ১৯৯৩ সালের ৫ অক্টোবর মামলার প্রথম চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। ৩ বছর বাদে ১৯৯৬ সালের ১০ জানুয়ারি পেশ করা হয় সাপলিমেন্টারি চার্জশিট। প্রথমে ৪০ জন অভিযুক্তের নাম ছিল, পরে বাল ঠাকরে-সহ আরও ৮ জন নেতার নাম জুড়ে দেওয়া হয়।
  • ১৯৯৭ সালে লখনউ ম্যাজিস্ট্রেট অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের নির্দেশ দেয়। কিন্তু সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়ে দেয় এলাহাবাদ হাই কোর্ট। ২০০১ সালের ফেব্রুয়ারিতে এলাহাবাদ হাই কোর্ট আডবানী, যোশীদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মামলা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয়। এর বছর দুই বাদে বাজপেয়ীর সরকার থাকার সময় সিবিআই আডবানীদের বিরুদ্ধে হিংসায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলা প্রত্যাহার করে। সিবিআইয়ের দায়ের করা মামলা দুর্বল হয়ে যায়। এরপর দীর্ঘদিন তদন্ত এগোয়নি। কিন্তু ২০০৫ সালে আবার এলাহাবাদ হাই কোর্টই হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেয়।
  • ২০১০ পর্যন্ত দুটি আলাদা আলাদা আদলতে মামলা চলছিল একটি রায়বরেলি আদালতে একটি লখনউ আদালতে। সেবছর প্রথম সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে সিবিআই। সুপ্রিম কোর্ট দুটি মামলাকেই লখনউ আদালতে স্থানান্তর করে। এরপর ৭ বছর ধরে ওই আদালতে শুনানি চলছিল। ২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্টই আডবানীদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের ধারা ফের চালু করার নির্দেশ দেয়। তারপর থেকে সেই মামলার শুনানি চলছে লখনউয়ের ওই সিবিআই আদালতে। প্রথমে ১৬ সেপ্টেম্বর জীবিত এই ৩২ জনের বিরুদ্ধে রায়দানের নির্দেশ থাকলেও আদালত সেই ডেডলাইন পালন করতে পারেনি। পরবর্তী ডেডলাইন দেওয়া হয় ৩০ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ আজ।

আডবানীদের শাস্তির সম্ভাবনা কতটা?
বাবরি ধ্বংসের প্রত্যক্ষদর্শীর সংখ্যা অন্তত ৩০-৪০ হাজার। তবে সিবিআই মোট ১০২৬ জনকে সাক্ষী হিসেবে পেশ করার অনুমতি চেয়েছে। এদের মধ্যেও মাত্র ৩৫১ জন আদালতে গিয়ে সাক্ষী দিয়েছেন। তবে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু নথি এবং ভিভিও ফুটেজ পেশ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যদিও অভিযুক্তরা শুরু থেকেই দাবি করে আসছে কংগ্রেস সরকারের আমলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই মামলার তদন্ত হয়েছে।

 

[আরও পড়ুন: বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলার রায়দান : আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও কোর্টে থাকবেন না বহু অভিযুক্তই]

মামলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হল, রাম মন্দির মামলার রায়। রাম মন্দির মামলার রায় দিতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্ট পর্যবেক্ষণে জানায়, বাবরি মসজিদ ধ্বংস ধর্মনিরপেক্ষ ভারতে পুরোপুরি ‘আইন বিরুদ্ধ’ কাজ। এবং ক্ষতিপূরণ হিসেবে মুসলিম পক্ষকে ৫ একর জমি দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়। সেটাই ভাবাচ্ছে অভিযুক্তদের।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement