সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাবরি ধ্বংস হয়েছিল বটে। কিন্তু কেউ ষড়যন্ত্র করে তা ভেঙে দেয়নি। জনতার রোষে ওই বিতর্কিত নির্মাণ ভেঙে পড়েছে, এর নেপথ্যে কোনও রাজনৈতিক নেতার উসকানি কাজ করেনি। বুধবার লখনউয়ের বিশেষ সিবিআই আদালত যে রায় দিল, তার সারমর্ম এটাই।
Special CBI Court observed that the 1992 Babri Masjid demolition was not pre-planned. https://t.co/dwpyHkDM6X
— ANI (@ANI) September 30, 2020
লখনউয়ের বিশেষ সিবিআই আদালত বুধবার বাবরি ধ্বংস মামলার ৩২ জন জীবিত অভিযুক্তকেই বেকসুর খালাস করে দিল। আদালতের বক্তব্য দীর্ঘ ২৮ বছরের তদন্তের শেষেও এই ৩২ জনের বিরুদ্ধে সিবিআই এমন কোনও প্রমাণ বা নথি পেশ করতে পারেনি, যাতে প্রমাণ হয় বাবরি ধ্বংসের নেপথ্যে কোনও রাজনৈতিক নেতার উসকানি ছিল। ফলে এই দীর্ঘ ২৮ বছরের আইনি লড়াইয়ের পর এল কে আডবানী (Lal Krishna Advani), মুরলীমনোহর যোশী (Murli Manohar Joshi), কল্যাণ সিং, উমা ভারতী, সাক্ষী মহারাজের মতো বিজেপি নেতারা বেকসুর মুক্তি পেয়ে গেলেন।
প্রশ্ন হচ্ছে, উসকানিমূলক ভাষণ এবং প্রকাশ্যে জনগণকে একত্রিত করা সত্বেও বাবরি ধ্বংস মামলায় আডবানীরা কীভাবে মুক্তি পেলেন? আদালত বলছে, সিবিআই এই মামলার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও প্রামাণ্য নথি জোগাড় করতে পারেনি। আর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য আদালতে গ্রহণযোগ্য নয়। আসলে বাবরি ধ্বংসের প্রত্যক্ষদর্শীর সংখ্যা অন্তত ৩০-৪০ হাজার। তবে সিবিআই মোট ১০২৬ জনকে সাক্ষী হিসেবে পেশ করার অনুমতি চেয়েছিল। এদের মধ্যেও মাত্র ৩৫১ জন আদালতে গিয়ে সাক্ষী দিয়েছেন। সেই সঙ্গে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু নথি এবং ভিডিও ফুটেজ পেশ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আদালতে পেশ করা হয়েছিল সেখানে উপস্থিত সাংবাদিক এবং পুলিশকর্মীদের বক্তব্যও। কিন্তু এর কোনও কিছুতেই প্রমাণ হয়নি যে অভিযুক্তরা কোনওরকম অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিলেন। লখনউয়ের সিবিআই আদালতের এই রায়ের পর এবার হাই কোর্টে আবেদন করার সুযোগ থাকছে সিবিআইয়ের কাছে। তবে, সিবিআই সেটা করবে কিনা স্পষ্ট নয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.