Advertisement
Advertisement

Breaking News

Baba Siddique

২৯ দিন পুলিশকে ফাঁকি, বাবা সিদ্দিকিকে খুনের পর কোথায়, কীভাবে গা ঢাকা দেন শিবকুমার?

লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই আনমোলের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত শিবকুমার।

Baba Siddique murder accused Shiv Kumar was in touch with Anmol

বাঁদিক থেকে বাবা সিদ্দিকি ও অভিযুক্ত শিবকুমার।

Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:November 11, 2024 3:41 pm
  • Updated:November 11, 2024 3:42 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নেপালে পালিয়ে যাওয়ার আগেই পুলিশের জালে বাবা সিদ্দিকি খুনের মূল শুটার শিবকুমার। রবিবার রীতিমতো ফাঁদ পেতে উত্তরপ্রদেশের বাহরাইচ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, গত ২৯ দিন ধরে পালিয়ে বেড়ানোর সময় গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই আনমোলের সঙ্গে স্ন্যাপচ্যাটে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত অভিযুক্ত।

১২ অক্টোবর মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন বিধায়ক বাবা সিদ্দিকিকে গুলিতে ঝাঁজরা করে দেয় আততায়ীরা। পুলিশ সূত্রের দাবি, শুধু বাবা নন, হত্যাকারীদের টার্গেটে ছিলেন সিদ্দিকির পুত্র বিধায়ক জিশান সিদ্দিকিও। রীতিমতো কপালজোরে রক্ষা পান তিনি। এই খুনের দায় স্বীকার করেছে কুখ্যাত লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং। দাবি করা হয়, সলমন খানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ও দাউদ গ্যাংয়ের সঙ্গে যোগ থাকার জেরেই বাবা সিদ্দিকিকে হত্যা করেছে তারা। হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত একাধিক জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যে তালিকায় রয়েছে অস্ত্র সরবরাহকারী থেকে শুরু করে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত একাধিক জন। তবে যার গুলিতে সিদ্দিকির মৃত্যু হয় এতদিন ধরে অধরা ছিল সেই শিবকুমার।

Advertisement

পুলিশের তরফে জানা যাচ্ছে, পালানোর সুবিধা হবে বলেই ১২ অক্টোবর উৎসবের রাতকে বেছে নিয়েছিল হত্যাকারীরা। যদিও খুনের পর ঘটনাস্থল থেকেই ধমররাজ কাশ্যম এবং গুরমেল সিংকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে কোনও রকমে সেখান থেকে পালায় শিবকুমার। এর পর নিজের ফোন ভেঙে ফেলে সেখান থেকে চলে যায় পুণে। সেখান থেকে ঝাঁসি, লখনউ হয়ে গা ঢাকা দেয় বাহরাইচে। উদ্দেশ্য ছিল সেখান থেকে নেপাল পালানোর। ধৃত ধরমরাজের দাদা অনুরাগ কাশ্যপও এই কাজে তাঁকে সাহায্য করেছিলেন। রবিবার শিবকুমারের সঙ্গে আরও যে চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয় এই তালিকায় ছিল ধরমরাজের দাদাও।

উত্তরপ্রদেশের এসটিএফের ডেপুটি এসপি প্রমেশ শুক্ল বলেন, ‘আনমোল বিষ্ণোইয়ের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত শিবকুমার। স্ন্যাপচ্যাটের মাধ্যমে কথা হত তাদের। সিদ্দিকিকে খুনের জন্য শিবকুমার ও তার সহযোগীদের আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ, একাধিক সিম কার্ড এবং মোবাইল ফোন দেয় শুভম লোঙ্কার এবং মহম্মদ ইয়াসিন আখতার।’ এই শুভমের খোঁজে দেশের নানা প্রান্তে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। খোঁজ চলছে আর এক অভিযুক্ত জিশানের। এই নিয়ে সিদ্দিকি খুনে এখনও পর্যন্ত ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement