সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যোগগুরু বাবা রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলির বিরুদ্ধে এর আগে বিজ্ঞাপনে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি, অন্য সংস্থার সম্মানহানির মতো একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু এবার যে অভিযোগ উঠল, তার গুরুত্ব মারাত্মক! ভারতে দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পতঞ্জলির বিভিন্ন পণ্যের বিক্রি, বাড়ছে সুনাম ও খ্যাতি। কিন্তু সংস্থার প্রাক্তন সিইও অভিযোগ তুলে দিলেন, বাবা রামদেব নাকি কর্মীদের বেতন দিতে চান না। তিনি চান, কর্মীরা ‘পতঞ্জলি’তে চাকরি নয়, বিনামূল্যে ‘সেবা’ করুক।
গত আর্থিক বছরে বছরে পতঞ্জলি ১০,৫৬১ কোটি টাকার ব্যবসা করে। কিন্তু যাঁরা এর কারিগর, তাঁদের প্রতি সংস্থার মনোভাব খুব এক সদয় নয় বলেই দাবি পতঞ্জলির প্রাক্তন সিইও এস কে পাত্রর। তাঁর অভিযোগ, পতঞ্জলি চায় কর্মীরা ‘সেবা’ করুক, ‘চাকরি’ নয়। কর্মীদের বিনা বেতনে কাজ করানোর মতো মারাত্মক অভিযোগ তুলে দিলেন সংস্থার বিরুদ্ধে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এস কে পাত্র বলেছেন, ‘পতঞ্জলিতে যাঁরা কাজ করেন, তাঁরা যৎসামান্য বেতন পান। আমি ওই সংস্থায় একসঙ্গে দু’টি দায়িত্ব পালন করতাম। পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ ও পতঞ্জলি ফুড পার্কের দায়িত্বে ছিলাম আমি। কিন্তু বাবা রামদেব সকলকে বলেন, আমি নাকি এখন বেতন নিলেও পরে নেব না। আমি নাকি ওখানে সেবা করতে যোগ দিয়েছি।’
আইটি ও আইআইএমের প্রাক্তনী পাত্র বাবা রামদেবের এও বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করে জানান, তিনি তাঁর কাজের যোগ্য পারিশ্রমিক চান। তিনি বলছেন, ‘আমি প্রতিবাদ জানাই। বলি, আমার টাকা দিন। আমি নিজের জন্য চাইছি না। আমার পরিবারের জন্য চাইছি। কিন্তু বাবা রামদেব আমাকে একটি বিভাগেরই বেতন দিলেন। অথচ, আমি দু’টি বিভাগে চাকরি করতাম।’ শেষ পর্যন্ত পতঞ্জলি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন পাত্র। তাঁর মন্তব্য, ‘বাবার কথা ও কাজের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে, তাই পতঞ্জলি ছেড়ে দিলাম।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.