সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁর ‘ফতোয়া’ নিয়ে তুলকালাম গোটা দেশে। নজিরবিহীন জবাব দিয়েছেন গায়ক সোনু নিগম। যদিও এত বিতর্কের মধ্যেই উল্টো সুর শোনা গেল ‘মৌলবী’ কাদরির মুখে। এক প্রশ্নের উত্তরে জানালেন, তিনি ফতোয়া জারি করেননি। শুধুমাত্র ইনাম ঘোষণা করেছিলেন।
[ এবার পাড়ার মুদির দোকানে মাত্র ১০ টাকায় মিলবে হাই স্পিড ডেটা ]
আজানে লাউডস্পিকারের ব্যবহার নিয়ে টুইট করেছিলেন প্রখ্যাত গায়ক সোনু নিগম। তার জেরেই তাঁর মাথা কামিয়ে ছেঁড়া জুতোর মালা পরিয়ে দেশ ঘোরালে দশ লক্ষ টাকার ইনাম ঘোষণা করেন ‘মৌলবী’ কাদরি। ফতোয়া হিসেবেই ধরে নেওয়া হয়েছিল এই ঘোষণা। জবাব দিয়ে, সোনু নিজেই মাথা কামিয়ে ফেলেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে মৌলবী কাদরি ফতোয়া দেওয়ার কতটা যোগ্য? ইসলাম ধর্মের নিয়ম অনুযায়ী, ইসলামে প্রকৃত শিক্ষিত লোকেরাই ফতোয়া দিতে পারেন। তাঁদের মুফতি বলা হয়। কোরান-হাদিশ সম্পর্কে যাঁদের বিশেষ জ্ঞান আছেন এরকম ব্যক্তিই ফতোয়া তথা ধর্মীয় বিধান দেওয়ার যোগ্য। তা কখনওই কোনও হুমকি নয়। এমনকী ব্যক্তিগত মতামত, সুযোগসন্ধান বা রাজনৈতিক মতাদর্শ প্রভাবিত হতে পারে না। ফতোয়া একান্তই ইসলাম ধর্মের নিজস্ব ব্যাপার। তাই এই ফতোয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। বৃহস্পতিবার এ প্রশ্নের জবাবে কাদরি জানান, তিনি কখনওই ফতোয়া জারি করেননি। ইনাম ঘোষণা করেছিলেন মাত্র। যেহেতু সোনু সবকটি শর্ত পূরণ করেননি তাই ইনাম দেওয়ারও কোনও প্রশ্নই নেই।
[ ‘আজান’-এর সময় মাইকের ব্যবহারে শব্দদূষণ, দাবি হিন্দু সংগঠনের ]
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমস-এ প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রকৃত ইসলাম বিশেষজ্ঞরাও কাদরিকে ফতোয়া জারি করার যোগ্য বলে মনে করেননি। এক ধর্মগুরুর কথা অনুযায়ী, কাদরিকে মৌলবী বা মৌলানা বা ধর্মগুরুর সম্মান দেওয়াও বাড়াবাড়ি। এবং এই তুচ্ছ বিষয়ে আর কোনও মতামত জানাতেও অস্বীকার করেন ওই ইসলাম ধর্মগুরু।
[ আজান বিতর্কে সোনুকে সমর্থন, প্রকাশ্যে কোপানো হল দুই ব্যক্তিকে ]
ফতোয়া প্রসঙ্গ অস্বীকার করলেও অবশ্য সোনুর বিরুদ্ধে ক্ষোভ কমেনি কাদরির। মাথা কামানোর পরও সোনুর বিরুদ্ধে সংবিধান বিরোধী কাজের অভিযোগ এনেছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, খোদ প্রধানমন্ত্রীও আজানকে সম্মান করেন। বক্তৃতা দেওয়ার সময় আজানের শব্দ এসেছিল বলে তিনি ভাষণ থামিয়ে দিয়েছিলেন। একই কাজ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। আর তাই আজান নিয়ে সোনুর মতকে একান্তই সংবিধান বিরোধী বলে মনে হয়েছে তাঁর। তাঁর দাবি ছিল, এরকম লোকের দেশত্যাগ করাই উচিত। যদিও সাংবাদিক বৈঠক করে সোনু জানিয়েছেন, তিনি কোনও ধর্মে বিরুদ্ধেই কোনও মত প্রকাশ করেননি। একটি সামাজিক বিষয়কেই সামনে এনেছিলেন মাত্র। সমস্ত বিতর্ক সত্ত্বেও তিনি চান, ধর্মীয় স্থানে লাউডস্পিকারের ব্যবহার বন্ধ হোক। মন্দির বা মসজিদ তা যাই হোক না কেন, লাউডস্পিকার যে কোথাও ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা নয়, সে কথাই বারবার তুলে ধরেন তিনি।
[ রাম মন্দির নির্মাণে অযোধ্যায় ইট নিয়ে হাজির মুসলিম করসেবকরা ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.