সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের ধাক্কা খেলেন আজম খান (Azam Khan)। শুক্রবার তাঁর বিধায়কপদ খারিজ করে দেওয়া হল। বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করার মামলায় বৃহস্পতিবারই তাঁকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। সেখানে জামিন পেয়ে গেলেও তাঁর বিধায়ক পদ বাতিল হয়ে গেল। দু’বছরের বেশি সময়ের জন্য আজমকে কারাদণ্ড দিয়েছে রামপুর জেলা আদালত, সেই জন্যই তাঁর বিধায়ক পদেও কোপ বসল।শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) স্পিকারের দপ্তর থেকে সরকারি ভাবে এই ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছিল উত্তরপ্রদেশের বাহুবলী আজম খানের বিরুদ্ধে।
২০১৩ সালে সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল, কোনও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি যদি ফৌজদারি মামলায় তিন বছরের বেশি কারাদণ্ড পান, তাহলে তাঁর জনপ্রতিনিধি পদ সঙ্গে সঙ্গে খারিজ করে দেওয়া হবে। সেই রায়ের ভিত্তিতেই আজম খানের বিধায়ক পদ খারিজ করে দেওয়া হল। তবে বৃহস্পতিবার কারাদণ্ড পাওয়ার পরেই জামিনও পেয়ে যান সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক। তবে এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে আপিল করার জন্য সাতদিন সময় দেওয়া হয়েছে আজমকে।
২০১৯ সালে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করেছিলেন আজম খান। যোগীকে ক্রিমিনাল বলে কটাক্ষ করে তিনি বলেছিলেন, ““আপনি ধর্মের তথাকথিত ধ্বজাধারী ও গোরক্ষনাথ মন্দিরের পুরোহিত। কিন্তু, তার পাশাপাশি আপনি একজন যাদব পুলিশকর্মীকে খুনও করেছেন।” শুধুমাত্র যোগী আদিত্যনাথই নন, সেই সময়ের প্রশাসনিক কর্তাদের বিরুদ্ধেও অপমানজনক মন্তব্য করেছেন আজম খান। এছাড়াও প্রতারণার দায়ের ইতিমধ্যেই দু’বছর জেলে কাটিয়ে ফেলেছেন তিনি। কম করে ৯০টি মামলা রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে জিতে রামপুরের সাংসদ হয়েছিলেন আজম খান। তারপর বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি, সীতাপুর জেল থেকেই বিধানসভা নির্বাচনে জেতেন বাহুবলী। সেই সঙ্গেই সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। উত্তরপ্রদেশে নির্বাচন পর্ব মিটে যাওয়ার এক মাসেরও বেশি সময় পরে আজম খানের জামিন মঞ্জুর করে এলাহাবাদ হাই কোর্ট। ১০ মে জেল থেকে বেরনোর পরে ফের কারাদণ্ডের খাঁড়া ঝুলছে তাঁর উপরে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.