Advertisement
Advertisement

Breaking News

আজম খান

‘আমার সঙ্গে জঙ্গিদের মতো ব্যবহার করা হত’, কান্নায় ভেঙে পড়লেন আজম খান

তাঁর উপর তিনদিনের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করে নির্বাচন কমিশন।

Azam Khan broke in tears during Rampur LS poll rally
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:April 20, 2019 2:57 pm
  • Updated:April 20, 2019 2:57 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জয়া প্রদাকে অন্তর্বাস নিয়ে অশালীন মন্তব্য করায় বেশ চাপে রয়েছেন সমাজবাদী পার্টির নেতা আজম খান। নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়, তিনদিন কোনও প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না তিনি। আর এই সময়ই তাঁর সঙ্গে নাকি জঙ্গিসম আচরণ করা হয়েছে। এমনকী তাঁর অনুরাগীদের সঙ্গেও নাকি একই ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন সমাজবাদী পার্টির এই নেতা।

রামপুরে বক্তৃতা দিতে গিয়ে কার্যত কেঁদে ফেলেন আজম খান। বলেন, তাঁর উপর যখন নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল, তাঁর সঙ্গে তখন জঙ্গিদের মতো ব্যবহার করা হত। এক এক সময় মতে হতো তিনি দেশদ্রোহী। মনে হতো, তাঁর মতো দেশদ্রোহী বিশ্বে আর দ্বিতীয় কেউ নেই। আজম খান বলেন, তিনি কোনও অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারতেন না, কারও সঙ্গে দেখা করতে পারতেন না। এর থেকে তো তাঁকে গুলি করে মেরে ফেলতে পারত প্রশাসন, বলেন আজম খান। প্রশ্ন তোলেন, এটি কী ধরনের গণতন্ত্র? যাঁরা তাঁকে সমর্থন করতেন, তাঁদের ঘরবন্দি করে রাখা হয়েছে। পতাকা ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: লাইনচ্যুত হাওড়া-নিউ দিল্লি পূর্বা এক্সপ্রেসের ১২টি কামরা, আহত অনেকে ]

এবছর সমাজবাদী পার্টির হয়ে রামপুর থেকে নির্বাচন লড়ছেন আজম খান। ওই কেন্দ্রেরই বিজেপি প্রার্থী জয়া প্রদা। ১৫ এপ্রিল একটি নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে আজম খান তাঁর বিরোধী প্রার্থীর বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য করেন। বলেন, তিনি নাকি ১৭ দিনেই বুঝে গিয়েছিলেন জয়া প্রদার অন্তর্বাসের রং খাকি। স্বাভাবিকভাবেই আজম খানের এমন বেফাঁস মন্তব্য নিয়ে ভোটের আবহে সমালোচনার সুর চড়ায় গেরুয়া শিবির৷ একজন মহিলাকে নিয়ে কীভাবে এমন অশ্লীল মন্তব্য করতে পারেন ওই বর্ষীয়ান নেতা৷ তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে তারা৷ জয়া প্রদা বলেন, “যিনি এত কুমন্তব্য করতে পারেন, তাঁর ভোটে দাঁড়ানোই অনুচিত৷ একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে তিনি ভোটে জয় পেলে গণতন্ত্র বলে কিছুই থাকবে না৷ নারী নিরাপত্তা নিয়েও চিন্তা বাড়বে৷” পরে আত্মপক্ষ সমর্থন করে আজম খান বলেন, “আমাকে দোষী প্রমাণ করতে পারলে ভোটেই লড়ব না। আমি কারও-র নাম নিইনি, কাউকে অপমানও করিনি। আমি রামপুরের ন’বারের বিধায়ক, মন্ত্রীও ছিলাম। আমি জানি কী বলতে হয়।”

কিন্তু তাতে বেঁচে যাননি আজম খান। তাঁর উপর তিনদিনের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করে নির্বাচন কমিশন। জানানো হয়, এই তিনদিন আজম খান কোনও নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না। ১৬ এপ্রিল থেকে জারি হয় এই নির্দেশিকা। এমনকী জাতীয় মহিলা কমিশনের তরফ থেকেও তাঁকে নোটিস পাঠানো হয়।

[ আরও পড়ুন: নির্বাচনে শামিল মানসিক রোগীরাও, দেশে প্রথম হাসপাতালেই ভোটকেন্দ্র ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement