সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপি সাংসদ রমাদেবীর উদ্দেশে বিতর্কিত মন্তব্য করায় অবশেষে ক্ষমা চাইলেন আজম খান। সোমবার সকালে লোকসভার অধিবেশনের শুরুতেই ক্ষমা চাইলেন সমাজবাদী পার্টির এই বর্ষীয়ান সাংসদ৷ বিহারের শেওহরের সাংসদ রমাদেবীকে ‘বোন’ বলে সম্বোধন করে তিনি জানালেন, ‘‘আমার কথায় যদি কেউ আঘাত পেয়ে থাকেন, তাহলে আমি ক্ষমা চাইছি।’’
[ আরও পড়ুন: বাঘের সংখ্যা বাড়লেও কমছে বাসস্থান, বিশ্ব ব্যঘ্র দিবসে আনন্দের চেয়ে উদ্বেগে বন্যপ্রাণপ্রেমীরা ]
জানা গিয়েছে, এদিন সকালে প্রথমেই সংসদ ভবনে অধ্যক্ষ ওম বিড়লার ঘরে যান আজম খান৷ তাঁর সঙ্গে ছিলেন সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব৷ সূত্রের খবর, অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মেটানোর চেষ্টা করেন উত্তরপ্রদেশের রামপুরের সাংসদ৷ ওম বিড়লাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে, রমাদেবীকে আঘাত করার জন্য তিনি ওই মন্তব্য করেননি৷ তবে অধ্যক্ষ তাঁদের সাফ জানান, ‘‘ক্ষমা চাইতেই হবে৷ এভাবেই একমাত্র বিষয়টির মিটমাট সম্ভব৷’’ এরপরই অধিবেশনের শুরুতে আজম খানকে বলার সুযোগ দেন অধ্যক্ষ ওম বিড়লা৷ সেখানে তিনি জানান, ‘‘আমি ন’বারের বিধায়ক, বহু বার মন্ত্রিত্বও সামলেছি। রাজ্যসভার সদস্যও হয়েছি৷ সংসদ বিষয়ক মন্ত্রীও ছিলাম। ফলে সংসদের কাজকর্ম সম্পর্কে অবগত। তা সত্ত্বেও বলছি, আমার মন্তব্যে কেউ আহত পেয়ে থাকলে, ক্ষমা চাইছি।’’
[ আরও পড়ুন: সফল ‘অপারেশন কমল’, কর্ণাটকের আস্থা ভোটে জয় ইয়েদুরাপ্পার ]
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার তিন তালাক বিতর্ক চলাকালীন ডেপুটি স্পিকার রমাদেবীর উদ্দেশে লিঙ্গবৈষম্যমূলক মন্তব্য করেন আজম খান৷ বলেন, “আপনাকে আমার এত ভাল লাগে যে মনে হয়, আপনার চোখে চোখ রেখে বসে থাকি।” এরপরই সপা সাংসদের মন্তব্যকে ঘিরে তীব্র অসন্তোষ তৈরি হয়৷ তাঁর বিরুদ্ধে সরব হন সমস্ত মহিলা সাংসদরা৷ নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে, তাঁকে সংসদ থেকে বহিষ্কারেরও দাবি তোলেন তাঁরা। ক্ষোভ উগরে দিয়ে রমাদেবী বলেন, “আজম খানের মন্তব্যে শুধুমাত্র নারীরই নয়, পুরুষের সম্মানেও আঘাত হেনেছে।” ক্ষমা চাইলেও আজমকে মাফ করবেন না বলেও স্পষ্ট জানান তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.