হেমন্ত মৈথিল, লখনউ: লোকসভা ভোটে অপ্রত্যাশিতভাবে হারতে হয়েছিল অযোধ্যায়। এবার বদলা নিতে বদ্ধপরিকর উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। অযোধ্যার সাংসদ অবধেশ প্রসাদের ছেড়ে যাওয়া মিল্কিপুর বিধানসভার উপনির্বাচনে জিততে কোমর বেঁধে আসরে নামলেন তিনি। শনিবার ওই বিধানসভা কেন্দ্রের কর্মীদের এক সমাবেশে জয়ের মন্ত্র দিলেন যোগী।
লোকসভা ভোটের আগে আগে অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধন হয়েছে। যার সুবাদে অযোধ্যা শহর-সহ গোটা জেলাতেই উন্নয়নের জোয়ার। ঢেলে সাজানো হয়েছে পরিকাঠামো। সরকারের সেই উন্নয়নমূলক কর্মসূচিগুলিকে হাতিয়ার করেই মিল্কিপুরে সমাজবাদী পার্টিকে পরাস্ত করার লক্ষ্য রাখছেন যোগী। শনিবার অযোধ্যায় আচার্য নরেন্দ্র দেব কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে এক কর্মীসভায় দলের কর্মীদের মিল্কিপুর জয়ের বার্তা দিয়েছেন যোগী।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “দলকে জেতানোর জন্য সুস্থ প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামা উচিত বিজেপি কর্মীদের। প্রত্যেক কর্মীর চেষ্টা করা উচিত যাতে তাঁর বুথে বিজেপি সবচেয়ে বেশি ভোট পায়। কার বুথ, গ্রামসভা, মণ্ডলে বেশি ভোট পাচ্ছে দল, কর্মীদের মধ্যে তা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকা উচিত।” যোগীর বার্তা, ভোটারদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখাটাই জয়ের একমাত্র পন্থা। তিনি বলেন, “আমরা অযোধ্যাকে উন্নয়নের প্রতীক হিসাবে তুলে ধরেছি। আমরা ভগবান রামকে সনাতন ধর্মের এবং উন্নয়নের প্রতীক হিসাবে দেখি। আর সমাজবাদী পার্টি বাবরকে আদর্শ মনে করে। বাবর ধ্বংসের প্রতীক। ওরা অযোধ্যার উন্নয়ন আটকে দিচ্ছে। ওরা রামভক্তদের উপর গুলি চালিয়েছিল। গোটা রাজ্যে দাঙ্গার আগুন জ্বালিয়েছে।”
তাঁর বক্তব্য, “সমাজবাদী পার্টি সন্ত্রাস, হিংসা এবং সমাজবিরোধীদের প্রতীক। আর বিজেপি উন্নয়নের প্রতীক। রাজ্য এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।” উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, বিজেপির উন্নয়নযোগ্য গোটা রাজ্যে প্রভাব ফেলছে। এমনকী ৬৫ শতাংশ মুসলিম অধ্যুষিত আসনেও বিজেপি জিতেছে। সেটা উন্নয়নের জন্যই সম্ভব। এই মিল্কিপুর আসনটিতে আগে বিধায়ক ছিলেন অযোধ্যার সাংসদ অবধেশ প্রসাদ। তিনি সাংসদ হয়ে যাওয়ায় ওই কেন্দ্রে উপনির্বাচন। তবে ভোটের দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা করা হয়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.