সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এটিএম থেকে টাকা তুলতে গিয়ে বিপত্তি। ৫০০ টাকার নোটের বদলে বেরিয়ে এল ‘চিলড্রেন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’ ছাপা নকল নোট। এই ধরনের খেলনা নোটগুলি সাধারণত বাচ্চাদের লজেন্সের সঙ্গে ফ্রিতে পাওয়া যায়। কিন্তু এবার এটিএম-এর মতো জরুরি পরিষেবা নিতে গিয়ে এই ধরনের নকল নোট হাতে পেয়ে ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা।
কিন্তু কোথায় পাওয়া গেল এই নোট? কানপুরের জনপ্রিয় মার্বেল মার্কেট চত্বরের অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের এটিএম থেকে এই নোট হাতে পেয়েছেন গ্রাহকরা। শচীন নামের এক ভুক্তভোগী জানিয়েছেন, তিনি ১০ হাজার টাকা তুলতে এটিএমে এসেছিলেন। কিন্তু এটিএম থেকে বেরনো টাকা হাতে নিয়ে দেখেন, তার মধ্যে একটি নোট জাল। নোটের গায়ে লেখা ‘চিলড্রেন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, ‘ফুল অফ ফান’-এর মতো শব্দ। সঙ্গে সঙ্গে এটিএমের প্রহরীর সঙ্গে যোগাযোগ করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন শচীন। বলছেন, ‘আমাকে জানানো হয়েছে যে সোমবার ব্যাঙ্ক খুললে আমার নোট পালটে দেওয়া হবে।’ এই ঘটনাকে ঘিরে প্রবল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মার্বেল মার্কেট এলাকায়। আতঙ্কে হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছে আশেপাশের এটিএমগুলিতে। এটিএম থেকে যাঁরাই টাকা তুলছেন, বের হওয়ার আগেই গুণে, মিলিয়ে নিচ্ছেন। এক নয়, দুজন ব্যক্তি যথাক্রমে ১০ ও ২০ হাজার টাকা তুলতে গিয়ে এরকম নকল নোট পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ কানপুরের পুলিশ সুপার।
Kanpur: An Axis Bank ATM located in Marble Market dispensed fake currency notes with ‘Children Bank of India’ printed on them. pic.twitter.com/fu7D2QbZtB
— ANI UP (@ANINewsUP) February 11, 2018
তিনি বলছেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি যে দুজন ব্যক্তি একটি করে নকল নোট পেয়েছেন। আমরা এটিএমটি আপাতত বন্ধ করে রেখেছি। তদন্ত চলছে।’ তবে এই ঘটনা মনে করিয়ে দিচ্ছে নোট বাতিলের পরবর্তী পরিস্থিতির কথা। ২০১৬-র ৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পুরনো ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটকে বাতিল বলে ঘোষণা করার পর থেকেই মানুষ যেখানে এটিএম দেখেছেন, লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। সে সময়ও এটিএম নিয়ে বিস্তর অভিযোগ উঠেছিল। কোথাও নয়া নোটের ‘ট্রে’ ঠিকঠাক ফিট হচ্ছিল না বলে এটিএম বন্ধ ছিল, কোথাও আবার টাকা না বেরলেও কেটে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে অ্যাকাউন্ট থেকে। নোট বাতিলের প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠতেই বেড়ে যায় ব্যাঙ্কে টাকা জমা রাখা ও তোলার চার্জ। নিয়ন্ত্রিত হয় বিনামূল্যে এটিএম পরিষেবা। যদিও নোট বাতিলের মতো প্রধানমন্ত্রীর ‘কড়া ওষুধে’ দুর্নীতির মতো ‘রোগ’ কতটা সেরেছে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন কোনও কোনও অর্থনীতিবিদ। খবর মিলেছে, নোট বাতিলের পর প্রায় ১৫ মাস কেটে গেলেও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এখনও পুরনো ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট গুনে শেষ করতে পারেনি।
I came to withdraw Rs 10,000. One of the notes dispensed had ‘Children Bank’ printed on it. We complained to the ATM guard who noted it down in his register. We are being told that the action will be taken & our notes would be changed on Monday: Sachin pic.twitter.com/FP13T5V8wv
— ANI UP (@ANINewsUP) February 11, 2018
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.