সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাক মদতে ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের উসকানিতে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে জম্মু-কাশ্মীর৷ শৈশব সেখানে বিপন্ন৷ একটু বড় হতেই হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে পাথর৷ তারপরেই ওই যুবকদের দেওয়া হচ্ছে সন্ত্রাসবাদের তালিম৷ তবে, ছ’মাসের বেশি বাঁচতে পারছে কাশ্মীরে বেড়ে ওঠা ওই জঙ্গিরা। ছ’মাসের মধ্যেই ভারতীয় সেনা নিকেশ করছে তাদের। এমনই তথ্য প্রকাশ করেছে খোদ সেনার একটি সূত্র৷
[জঙ্গিদমন অভিযানে গিয়ে উপত্যকায় শহিদ সেনা আধিকারিক]
প্রত্যেকদিনই সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে কার্যত রণক্ষেত্র পরিস্থিতি উপত্যকার৷ কখনও জঙ্গিদের অনুপ্রবেশের চেষ্টা বানচাল করে গুলিতে সন্ত্রাসীদের খতম করছে সেনা৷ আবার কখনও অতর্কিতে সেনা ঘাঁটিতে হামলা চালাচ্ছে জঙ্গিরা৷ পালটা উত্তরে সন্ত্রাসবাদীদের দরাফরা করছেন ভারতীয় জওয়ানরা৷ জানা গিয়েছে, ২০১৭-তে মোট ২১৩ জন জঙ্গিকে খতম করেছে সেনা৷ চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত নিকেশ হয়েছে ১৯২ জন জঙ্গি৷ অনুমান, আগামী দু’মাসের মধ্যে সংখ্যাটা গত বছরের অঙ্ক ছাড়িয়ে যাবে৷ পুরনো হিসাব বলছে, জঙ্গি সংগঠনে নাম লেখানোর পর ন’মাসের মধ্যে সেনার গুলিতে খতম হতে হচ্ছে জঙ্গিদের। সন্ত্রাসীদের উসকানিতে সেনার বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে ন’মাসের মধ্যে অকালেই প্রাণ খোয়াতে হয়েছে কাশ্মীরি যুবদের। তবে এবার সেই গড় আয়ু আরও কমে এসেছে বলেই জানাচ্ছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সেনা আধিকারিক। তাঁর মতে, এখন একজন জঙ্গি ছ’মাসের মধ্যেই সেনার গুলিতে প্রাণ খোয়াচ্ছে।
[দিল্লি পুলিশের নামে নালিশ জানাতে দোভালের দ্বারস্থ আইবি প্রধান]
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, গত জুন মাসে ২৯ জন কাশ্মীরি যুবক উপত্যকায় বেড়ে ওঠা কোনও না কোনও জঙ্গি সংগঠনে নাম লিখিয়েছে৷ জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে সংখ্যাটা যথাক্রমে ২৪ জন, ২৬ জন, ১৩ জন ও ১৯ জন৷ জানা গিয়েছে, শৈশব থেকেই এদের কানে ভরে দেওয়া হয় ভারত বিরোধী মন্ত্র৷ এরপর ক্রমাগত চলতে থাকে উসকানিমূলক বার্তা৷ পাকিস্তান থেকে এসে কাশ্মীরি যুবদের দেশবিরোধী মন্ত্রে দীক্ষা দিয়ে যায় জইশ, লস্কর, হিজবুলের জঙ্গি নেতারা৷ প্রথমে এদের পাথরবাজ হিসাবে সেনার বিরুদ্ধে উসকে দেওয়া হয়৷ এরপর আর একটু বড় হতেই এদের হাতে তুলে দেওয়া হয় বন্দুক৷ দেশের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করে ধীরে ধীরে নিজের পরিবার থেকে দূরে সরে যায় এই কাশ্মীরি যুবরা৷ একটা সময় সেনার সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে বা কোনও নাশকতা চালাতে গিয়ে অকালেই বেঘোরে প্রাণ হারাতে হয় এদের৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.