সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলা-সহ দেশের বেশিরভাগ রাজ্য যেখানে গরমে হাঁসফাঁস করছে, সেখানে অকাল তুষারপাতে বিপর্যস্ত জম্মু-কাশ্মীর৷ এপ্রিলের অপ্রত্যাশিত তুষারপাতে বিভিন্ন জায়গায় তুষারধসের মতো ঘটনাও ঘটছে। এরকমই একটি তুষারধসে বৃহস্পতিবার লাদাখের বাটালিক সেক্টরে চাপা পড়ল একটি সেনা ঘাঁটি। দু’জনকে উদ্ধার করা হলেও মারা যান তিন জওয়ান।
বৃহস্পতিবারই কার্গিল, বাটালিক-সহ একাধিক জায়গায় লাগাতার তুষারপাত হতে থাকে। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, তুষারধসে প্রাথমিকভাবে পাঁচ সেনার আটকে থাকার খবর পাওয়া গেলেও পরে দু’জনকে উদ্ধার করা হয়৷ বাকিদের খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান৷ এমনকী পাঠানো হয় বিশেষ উদ্ধারকারী দলও। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় বাকি তিনজন জওয়ানকে উদ্ধার করা হলেও অতিরিক্ত আঘাত পাওয়ায় বাঁচানো সম্ভব হয়নি তাঁদের। এদিকে, জম্মু-কাশ্মীরের কাকসার সেক্টরেও তুষারধসে চাপা পড়ে যায় বেশ কয়েকটি সেনা ছাউনি। তবে সেখানে আটকে পড়া জওয়ানদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।জানান হয়েছে সেনার পক্ষ থেকে।
Unprecedented snowfall triggers multiple avalanches; a Post in Batalik Sector buried, 2 soldiers out of 5 rescued. @adgpi 1/2
— NorthernComd.IA (@NorthernComd_IA) 6 April 2017
#UPDATE: Two soldiers have succumbed to their injuries after multiple avalanches in Batalik Sector (J&K). pic.twitter.com/z4ZJ3B8td5
— ANI (@ANI_news) 7 April 2017
J&K: Avalanches hit posts in Kaksar Sector; all affected soldiers safely rescued. Damage to equipment & stores being recouped.
— ANI (@ANI_news) 7 April 2017
গত এক দশকে এই প্রথম এপ্রিল মাসে বরফ পড়তে দেখলেন কাশ্মীরবাসী৷ কার্গিল, বারামুলা, কুপওয়ারা, বান্দিপোরায় মাঝারি থেকে তীব্র ধসের সতর্কতা জারি করেছে চণ্ডীগড়ের স্নো অ্যান্ড অ্যাভাল্যাঞ্চ স্টাডি এস্টাব্লিসমেন্ট৷ সতর্কতা জারি হয়েছে ভারী থেকে অতি ভারী বন্যারও৷ তিনদিন ধরেই একটানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে উপত্যকায়৷ একইসঙ্গে উত্তর ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যেও বৃষ্টি হয়েছে৷ প্রায় ১০ বছর পর এপ্রিলে বৃষ্টিপাত ও তুষারপাতের সাক্ষী থাকল উপত্যকা৷ বৃহস্পতিবার তুষারপাত হয় জম্মু ও কাশ্মীরে৷ বন্ধ করে দেওয়া হয় জাতীয় সড়ক৷ বন্ধ হয়েছে স্কুল, কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান৷ রবিবার পর্যন্ত তা বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে রাজ্য প্রশাসন৷ কয়েক দিন ধরে ব্যাহত নির্বাচনী প্রচারের কাজও৷
এদিকে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, কাশ্মীরের দক্ষিণ দিকের জেলাগুলিতে বরফ আপাত কম পড়লেও ভারী তুষারপাত হয়েছে উত্তর কাশ্মীরে৷ সম্ভাবনা রয়েছে বন্যারও৷ ঝিলম নদীর জল ইতিমধ্যে বিপদসীমা অতিক্রম করে গিয়েছে। নীচু এলাকাগুলিতেও ইতিমধ্যে জল ঢুকতে শুরু করেছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ দফতর বৃহস্পতিবার সারাদিন কর্মীদের সেখানে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছে৷ প্রতি ঘণ্টায় স্থানীয় নদী ও হ্রদগুলির জলের বাড়া-কমার পরিমাণের রিপোর্টও পেশ করতে বলা হয়েছে তাঁদের৷ ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জম্মু-কাশ্মীরের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন। পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.