সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় ২৫০ বছর আগে উত্তর ২৪ পরগণার বারাকপুরে দেশের প্রথম ক্যান্টনমেন্ট স্থাপন করেছিলেন ব্রিটিশরা৷ তারপরে সমগ্র দেশে সংখ্যাটা পৌঁছে গিয়েছে ৬২-তে৷ তবে এবার এই ক্যান্টনমেন্ট বা সেনা ছাউনি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে৷ আর এই প্রস্তাব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে পাঠিয়েছে খোদ সেনাই৷ উদ্দেশ্য, একদিকে সামরিক ব্যয় কমানো, পাশাপাশি ক্যান্টনমেন্টগুলির অধীনস্থ জমিকে সেনার নিজস্ব কাজে ব্যবহার করা৷ যেখানে কেবলমাত্র সেনারই ক্ষমতা থাকবে৷
[কেড়ে নেওয়া হোক মাদার টেরিজার ভারতরত্ন, দাবি আরএসএসের]
সূত্রের খবর, সেনার পক্ষ থেকে প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ক্যান্টনমেন্ট এলাকার মধ্যে যে অংশে জনবসতি রয়েছে সেই অঞ্চলগুলি স্থানীয় পুরসভা বা কর্পোরেশনের হাতে তুলে দেওয়া হবে৷ বাকি অংশ থাকবে সেনার দায়িত্বে৷ সেনার উচ্চপদস্থ কর্তারা মনে করেন, এর ফলে অনেকটাই কমানো যাবে সামরিক খরচ৷ চলতি বছরেই যার জন্য ব্যয় হচ্ছে ৪৭৬ কোটি টাকা৷ সূত্রের খবর, ২০১৫-তে প্রথমবার এমন একটি পরিকল্পনা নেওয়ার কথা ভাবা হয়েছিল সেনার পক্ষ থেকে৷ কিন্তু বিভিন্ন কারণে তা কার্যকর করা যায়নি৷ তবে এবার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন খোদ সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত৷ গত সেপ্টেম্বরে এই সংক্রান্ত একটি সমীক্ষাও শেষ করেছে সেনা৷
[পণপ্রথা রুখতে নয়া আইন, বর-কনে দু’পক্ষকেই জানাতে হবে বিয়ের খরচ]
জানা গিয়েছে, সমগ্র দেশে সেনার অধীনে রয়েছে প্রায় ১৭.৩ লক্ষ একর জমি৷ যার মধ্যে ১৯টি রাজ্যের ২ লক্ষ একর জমিতে নির্মিত রয়েছে ৬২টি ক্যান্টনমেন্ট৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বাধীনতার আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এই ক্যান্টনমেন্ট সংস্কৃতি৷ স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে সেই প্রথা অবলুপ্ত হয়েছে৷ কারণ, বাড়তে থাকা জনবসতি ধীরে ধীরে প্রবেশ করেছে ক্যান্টনমেন্ট এলাকায়৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.