সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৯৬ ঘণ্টা ধরে উত্তরকাশীর (Uttarkashi) টানেলে আটকে রয়েছেন ৪০ জন শ্রমিক। অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। ফলে উদ্ধারকাজে গতি আনার চেষ্টা চালাচ্ছে প্রশাসন। রবিবার সকাল থেকেই উদ্ধারকারীরা ধসে নামা মাটি ও পাথর ভেদ করতে বিভিন্ন ধরনের ড্রিল মেশিন ব্যবহার করছেন। স্টিলের পাইপের মাধ্যমে শ্রমিকদের জন্য সুড়ঙ্গে পাঠানো হচ্ছে অক্সিজেনও। এর মধ্যেই রাজধানী দিল্লি (Delhi) থেকে আরও বেশ কয়েকটি বড় আকারের ড্রিল মেশিন আনা হচ্ছে বলে খবর।
বিরাটাকার ড্রিল মাটির পাশাপাশি পাথর ফুটো করতে কাজে লাগানো হয়ে থাকে। উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, প্রতি ঘণ্টায় ৫ মিটার ধ্বংসাবশেষ সরাতে সক্ষম এই ড্রিল। ১ থেকে ৩০ মিটার গভীর গর্ত করতে পারে। যে কাজে একজন শ্রমিকের ঘণ্টার পর ঘণ্টা লেগে যায়, সেই কাজ নিমেষে করতে পারে এই ড্রিল। এতে রয়েছে বিশেষ ধরনের ব্লেড। যাকে বলা হয় ‘অউগার’।
উত্তরাখণ্ডে ইতিমধ্যে তিনটি অউগর ব্লেডযুক্ত বড় ড্রিল মেশিন কাজে লাগানো হয়েছে। আরও ৩টি একই ধরনের ড্রিল আনা হচ্ছে দিল্লি থেকে। যদিও দুঃস্বপ্নের চারদিন কেটে গিয়েছে, তার পরেও বৃহস্পতিবার সকালে উদ্ধারকারী দলের এক সদস্য বলেন, আমরা আত্মবিশ্বাসী, সুড়ঙ্গ থেকে শ্রমিকদের উদ্ধার করবই।
উল্লেখ্য, সিল্কইয়ারা এবং দণ্ডলগাঁওয়ের মাঝে তৈরি হচ্ছিল সুড়ঙ্গটি। রবিবার ভোরে সেখানে ধস নামে। টানেলটি সাড়ে চার কিলোমিটার লম্বা। তারই মধ্যে ১৫০ মিটার লম্বা এলাকা জুড়ে ধস নেমেছিল। খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান উত্তরকাশীর পুলিশ সুপার অর্পণ যদুবংশী। তাঁর তদারকিতেই শুরু হয় উদ্ধার অভিযান। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, দমকল শুরু করে উদ্ধারকাজ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.