সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার জোর করে ‘জয় শ্রীরাম’ ও ‘পাকিস্তান মুর্দাবাদ’ বলানোর অভিযোগ উঠল ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) রাজধানী রাঁচিতে (Ranchi)। রাঁচির এক কাশ্মীরি ‘শালওয়ালা’কে জোর করে ‘জয় শ্রীরাম’ ও ‘পাকিস্তান মুর্দাবাদ’ বলানোর অভিযোগ উঠেছে একদল ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এইসঙ্গে সে রাজ্যের আরও কয়েকজন কাশ্মীরি বিক্রেতাকে মারধর করারও অভিযোগ উঠল উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের বিরুদ্ধে। রবিবার অভিযুক্তদের মধ্যে ৩ জনকে আটক করল ঝাড়খণ্ড পুলিশ। এদিকে এই ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন (CM Hemant Soren)। জানিয়ে দিয়েছেন, ঝাড়খণ্ডে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর জায়গা নেই।
শীত পড়লেই পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে দেখা মেলে কাশ্মীরি যুবকদের। সাধারণত শীতের পোশাক বিক্রি করতে আসেন কাশ্মীরি যুবকেরা। পশ্চিমবঙ্গের মতোই ঝাড়খণ্ডেও দেখা মেলে এই মরশুমি ব্যবসায়ীদের। শনিবার রাঁচির দোরান্ডার অঞ্চলে তেমনই এক শালওয়ালা যুবককে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। বছর ৩৪-এর কাশ্মিরী যুবক পুলিশে অভিযোগ জানান, ২৫ জন ব্যক্তি একজোট হয়ে (এঁদের বেশ কয়েকজন স্থানীয় ব্যবসায়ি ছিলেন) তাঁকে ‘জয় শ্রীরাম’ ও ‘পাকিস্তান মুর্দাবাদ’ বলতে বাধ্য করে। এই ঘটনার পর প্রতিবাদ জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেন ঝাড়খণ্ডের কাশ্মীরি ব্যবসায়ীরা।
ওই ভিডিওতে এক কাশ্মীরি ব্যবসায়ী প্রশ্ন তোলেন, “একজন কাশ্মীরি হওয়া কি অপরাধ! এখানে আমাদের জীবন নরক করে তোলা হচ্ছে। আমরা ভারতীয় না? ওরা আমাদের দেখলেই ‘জয় শ্রীরাম’ ও ‘পাকিস্তান মুর্দাবাদ’ বলতে বলে। ৪ জনকে জঘন্যভাবে মারা হয়েছে। আমরা ভারতীয় এবং আইন সবার জন্যই এক। এর মধ্যে কোনও বৈষম্য থাকা উচিত নয়।”
.@JharkhandPolice संज्ञान लें एवं दोषियों पर कड़ी करवाई करें।
झारखण्ड में धार्मिक वैमनस्यता एवं भेदभाव के लिए कोई स्थान नहीं है। https://t.co/ifpzoihsPk
— Hemant Soren (@HemantSorenJMM) November 27, 2021
এদিকে কাশ্মীরি ব্যবসায়ীর হেনস্থার ঘটনায় কড়া বার্তা দিয়েছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। রবিবার তিনি কাশ্মীরি ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ভিডিওটি রিটুইট করেন। এইসঙ্গে হেমন্ত সোরেন লেখেন, “ঝাড়খণ্ডে ধর্ম নিয়ে বৈষম্যমূলক আচরণের জায়গা নেই।”
গোটা বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র রাঁচির সুপারিন্টেন্ডেন্ট অফ পুলিশ সুরেন্দ্র কুমার। তিনি জানিয়েছেন, “আমরা ওই ঘটনায় অভিযুক্ত ৩ জনকে আটক করেছি। তদন্ত চলছে। দোষ প্রমাণিত হলে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.