সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুলিশি হেফাজতে থেকেও প্রাণহানির আশঙ্কা ছিল আতিক আহমেদের (Atiq Ahmed)। বাড়তি নিরাপত্তা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টেও (Supreme Court) আবেদন করেছিলেন কুখ্যাত গ্যাংস্টার। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। তার ঠিক দু’ সপ্তাহের মধ্যেই বিশাল পুলিশবাহিনীর সামনেই গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যান আতিক ও তাঁর ভাই আশরাফ। অন্যদিকে, পুলিশি হেফাজতে থাকা অবস্থায় কী করে খুন হলেন দুই অভিযুক্ত, তার বিস্তারিত তদন্তের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন এক আইনজীবী।
জানা গিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টে নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য আবেদন করেন আতিক। তিনি বলেন, “উত্তরপ্রদেশ পুলিশের (Uttar Pradesh) হেফাজতে থাকলেও প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। কারণ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) নিজে বলেছিলেন, আতিককে একেবারে ধ্বংস করে দিতে হবে।” এহেন মন্তব্যের পর আতিক আবেদন করেন, তাঁর পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
কিন্তু ২৮ মার্চ এই আবেদন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, উত্তরপ্রদেশের বিচারাধীন বন্দি হিসাবে রয়েছেন আতিক। তাঁর সুরক্ষার দায়িত্ব নেবে সেরাজ্যের প্রশাসনই। এই ক্ষেত্রে আদালত কোনওভাবেই হস্তক্ষেপ করতে পারে না। এই রায়ের দু’সপ্তাহের মাথায় ১৩ এপ্রিল এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় আতিকের পুত্র আসাদ আহমেদের। ঠিক দু’দিন পর খুন হন আতিকও।
শনিবার আতিক ও তাঁর ভাই আশরাফের খুনের পরেই বিশদ তদন্তের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছেন বিশাল তিওয়ারি নামে এক আইনজীবী। বিশেষ কমিটি গঠন করে যেন এই দুই খুনের তদন্ত হয়, সেই দাবি করেছেন তিনি। আতিকের খুন ছাড়াও গত ৬ বছরে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এনকাউন্টারে যে ১৮৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন ওই আইনজীবী। অন্যদিকে ময়না তদন্তের পর জানা গিয়েছে, মোট ৯টি গুলি লেগেছিল আতিকের শরীরে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.