Advertisement
Advertisement

বাজপেয়ী-মমতা যুগলবন্দিতে বিপ্লব ঘটেছিল রেলে

বাজপেয়ীর জমানাতেই রেল যোগাযোগের ক্ষেত্রে কার্যত নতুন দিগন্ত সূচিত হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গে।

Atal Bihari-Mamata duo marked revolution in Railways
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:August 17, 2018 11:16 am
  • Updated:August 17, 2018 11:16 am  

সুব্রত বিশ্বাস: প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন দেশজুড়ে সড়ক যোগাযোগের সার্বিক ছবিটা ঝাঁ-চকচকে করে তুলেছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ী। পাশাপাশি এও মনে রাখতে হবে, তাঁর জমানাতেই রেল যোগাযোগের ক্ষেত্রে কার্যত নতুন দিগন্ত সূচিত হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গে। যাতে অনূঘটকের কাজ করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি ছিলেন বাজপেয়ী সরকারের রেলমন্ত্রী। এবং এই যুগলবন্দিতে রাজ্যে রেলের উন্নয়ন হয়েছিল চোখে পড়ার মতো। রেলমন্ত্রী হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীকে আবেদন করেছিলেন, ‘গনিদার (গনি খান চৌধুরি) পরে আমি রেলমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছি। পশ্চিমবঙ্গের জন্য কিছু করতে চাই।’ রেলমন্ত্রীর এই আবেদনে সায় দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাক যুদ্ধের পর বাংলাদেশের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়েছিল রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা। তা পুনরুজ্জীবিত করতে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আবার মালবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয় গেদে সীমান্ত দিয়ে। দু’দেশের মৈত্রীর বন্ধনে যোগাযোগে আবার পালক গোঁজা শুরু হল সেই সময়েই।

[দল নয় দেশই আগে, সংসদে রাজধর্মের পাঠ দিয়েছিলেন বাজপেয়ী]

Advertisement

শিয়ালদহ থেকে দিল্লির মধ্যে নতুন রাজধানী এক্সপ্রেস চলাচলের সূচনা। হাওড়া থেকে দ্বিতীয় রাজধানী এক্সপ্রেস চালু হওয়ায় তা দৈনিক হয়। একাধিক নতুন ট্রেন রাজে্য চালু হল একে একে। উল্লেখযোগ্য অকাল তখত এক্সপ্রেস, হাটেবাজারে এক্সপ্রেস, আজাদ হিন্দ এক্সপ্রেস দৈনিক হয়। হাওড়া-শিয়ালদহের মধ্যে প্রথম ইএমইউ ট্রেন চালু হয়। দরিদ্র মানুষজনের সুবিধায় ট্রেন চালু হয় সস্তার মান্থলি। তারকেশ্বরে ডবল লাইন, লালগোলায় ডবল লাইন, লক্ষ্মীকান্তপুরে ডবল লাইন, গঙ্গাসাগর যাত্রীদের সুবিধায় নামখানা পর্যন্ত ডবল লাইনের প্রকল্প গ্রহণ, তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুরের মাঝে ডবল লাইনের প্রকল্প ঘোষণা, ফুরফুরা শরিফের জন্য নতুন লাইনের প্রস্তাব। পুণ্যতোয়া বেলুড় মঠের জন্য বেলুড় মঠ স্টেশন তৈরির প্রকল্প নেওয়া হয়। বেলুড় স্টেশন বিল্ডিংকে বেলুড় মঠের আদলে, দক্ষিণেশ্বর স্টেশন বিল্ডিং দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের আদলে তৈরির প্রকল্প কার্যকর করা থেকে শুরু করে রাজ্যের প্রত্যন্ত প্রান্তরে টিকিট বুকিংয়ের সুবিধা দিতে সর্বত্র পিআরএস কেন্দ্র ছড়িয়ে দেওয়া হয়। রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও প্রকল্পই বাতিল করেননি তিনি। বরং রাজ্যে উন্নয়নের রূপরেখা ছড়িয়ে দিতে উৎসাহিত করে ছিলেন রেলমন্ত্রীকে। যার ফল সূদূরপ্রসারী হয়েছে রাজবাসীর কাছে।

[‘বিশ্বনেতা’র প্রয়াণে শোকস্তব্ধ রাশিয়া-আমেরিকা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement