বরফে জমে যাওয়া ডাল লেক।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় যবুথুবু অবস্থা জম্মু ও কাশ্মীরের। গত ৫০ বছর পর ডিসেম্বর মাসে শ্রীনগরের তাপমাত্রা নামল মাইনাস ৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রার পারদ যেভাবে নিচের দিকে নামতে শুরু করেছে ভয়ংকর শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা। শীতের দাপটে শ্রীনগরের ঐতিহ্যবাহী ডাল লেক জমে বরফে পরিণত হয়েছে।
দেশের বাকি অংশের তুলনায় শীতের প্রকোপ একটু বেশিই থাকে জম্মু ও কাশ্মীরে। অন্যান্য বারের তুলনায় এবার কাশ্মীরে শীত যে লম্বা ইনিংস খেলতে চলেছে সে আভাষ আগেই দিয়েছিল আবহাওয়া দপ্তর। তবে শীতের প্রকোপ যে এত চরম আকার নিতে পারে তা ধারনা করতে পারেননি স্থানীয়রা। রিপোর্ট অনুযায়ী শনিবার শ্রীনগরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৯৭৪ সালের পর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার এমন ঠান্ডা পড়ল শ্রীনগরে। সেবার তাপমাত্রা নেমেছিল মাইনাস ১০.৩ ডিগ্রিতে। অবশ্য শ্রীনগরের অতীত বলছে, এখনও পর্যন্ত এই এলাকায় রেকর্ড করা সর্বনিম্ন তাপমাত্রা মাইনাস ১২.৮ ডিগ্রি। সালটা ছিল ১৯৩৪ সালের ১৩ ডিসেম্বর।
ভয়াবহ এই ঠাণ্ডায় সাধারণ মানুষের যাতে কোনওরকম সমস্যা না হয় সেদিকে নরজ রাখছে প্রশাসন। এক্স হ্যান্ডেলে জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা জানিয়েছেন, চরম শীতেও যাতে সাধারণের কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য বিদ্যুৎ পরিষেবা সচল রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগকে। এই দপ্তরের কাজ খতিয়ে দেখতে আগামী এক সপ্তাহের জন্য শ্রীনগরে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। জম্মুতে তাঁর যে সব কর্মসূচি ছিল সেগুলি বাতিল করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রচণ্ড শৈত্যপ্রবাহকে কাশ্মীরী ভাষায় বলা হয় ‘চিল্লাই কালান’। প্রতিবছর ডিসেম্বরের ২১ তারিখ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত ৪০ দিনকে এই নামে ডাকেন তাঁরা। এই সময়কালে বরফের পুরু চাদরে ঢাকে উপত্যকা। স্তব্ধ হয়ে যায় জনজীবন। এবারও তার অন্যথা হয়নি। ‘চিল্লাই কালান’-এর শুরুতেই হাড় কাঁপানো ঠান্ডা পড়ল শ্রীনগরে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.