শেখর চন্দ্র, আসানসোল: ফের অবৈধভাবে কয়লা কাটতে গিয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল ইসিএলের খোলামুখ খনিতে (Coal Mine)। পাণ্ডবেশ্বরের পর এবার ঝাড়খণ্ডের নিরসায় ঘটল এই ঘটনা। ঝাড়খণ্ডের নিরসায় ইসিএলের বন্ধ থাকা রাবনসিড়ি নামক খনিতে মঙ্গলবার এই দুর্ঘটনা ঘটে।
ইসিএলের (ECL) মুগমা এরিয়াতে রাবনসিড়িতে অবৈধভাবে কয়লা কাটার সময় কয়লার চাঙর ভেঙে পড়ে ও ধস নামে। অভিযোগ, ধসে চাপা পড়ে যায় প্রায় ২০ থেকে ২২ জন। যার মধ্যে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত পাঁচজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা গিয়েছে। আরও ৬ জনের নাম জানতে পেরেছে নিরসা থানার পুলিশ। আশঙ্কা রয়েছে ১০-১২ জন ধসের নিচে চাপা পড়ে থাকতে পারেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে ইসিএলের মাইনস রেসকিউ টিম। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় নিরসার প্রাক্তন সিপিআই বিধায়ক অরূপ চট্টোপাধ্যায়। অরূপবাবুর অভিযোগ, পুলিশ প্রশাসনের একাংশের যোগসাজশে মাফিয়াদের সঙ্গে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় অবৈধভাবে কয়লা কাটা ও উত্তোলনের কাজ চলছে। কারা মাসিক টাকা নেয় বা কাদের অঙ্গুলি হেলনে এই অবৈধ ব্যবসা চলছে তাও সবার জানা।
ঘটনাস্থলে পৌঁছায় স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক অপর্ণা সেনগুপ্ত। তিনি এই ঘটনার জন্য ইসিএল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিকেই দায়ি করেছেন। তাঁর দাবি, সিআইএসএফ বা ইসিএলের নিরাপত্তারক্ষী থাকতেও বহিরাগতরা কেন খনিতে ঢুকবে তা কর্তৃপক্ষের দেখা উচিত।
প্রসঙ্গত, মাত্র কয়েকদিন আগেই পশ্চিম বর্ধমান জেলার পাণ্ডবেশ্বর এলাকায় অবৈধ কয়লা কাটতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল চারজনের। সূত্রের খবর, ওই খোলামুখ কয়লা খনিতে অবৈধভাবে কয়লা কাটার জন্য পুরুলিয়া থেকে মালকাটার নিয়ে আসা হয়েছিল। কয়লা উত্তোলনের পর এখন সেই কয়লা পাঠিয়ে দেওয়া হয় আসানসোলে। যার প্রমাণ ঝাড়খণ্ড থেকে আসা ৩৪ টি অবৈধ কয়লার লরি ধরা পড়েছিল কুলটি ও সালানপুর পুলিশের হাতে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.