সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল বিষ্ণোইয়ের ছেলে ও কংগ্রেস নেতা কুলদীপ বিষ্ণোইয়ের কাছ থেকে ২০০ কোটি টাকার বেআইনি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল আয়কর দপ্তর। রবিবার তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালান আয়কর দপ্তরের অফিসাররা। তখনই এই সম্পত্তির সন্ধান পাওয়া যায়। যদিও বেআইনি সম্পত্তি বিদেশে রয়েছে বলে আয়কর দপ্তরের তরফে দাবি করা হয়েছে।
গত ২৩ জুলাই কুলদীপের হরিয়ানা, দিল্লি ও হিমাচল প্রদেশের বাড়ি ও অফিস-সহ ১৩টি জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। আয়কর দপ্তরের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কয়েক দশক ধরে একটি গোষ্ঠী প্রচুর পরিমাণে আয় করে আসছে। বেশ কয়েকজন প্রতিপত্তিশালী ব্যক্তি সেই গোষ্ঠীটি নিয়ন্ত্রণ করে। দিল্লি ও তার প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতে সেই সব ব্যক্তিরা গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি রাজনৈতিক পদে বহাল রয়েছেন। তাঁরা বেআইনিভাবে বিপুল অর্থ লেনদেন ও স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির কথাও বলা হয়েছে বিবৃতিতে।
এখনও পর্যন্ত বেআইনিভাবে আর্থিক লেনদেন ও সম্পত্তি কেনাবেচার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। তবে এনিয়ে বেশি কিছু জানায়নি আয়কর দপ্তর। এমনকী বিবৃতিতে সেই প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নামও উল্লেখ করা হয়নি। কিন্তু সূত্রের খবর কংগ্রেস নেতা কুলদীপ বিষ্ণোইয়ের বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। তিনি হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল বিষ্ণোইয়ের পুত্র। এছাড়া কুলদীপ কংগ্রেসের সক্রিয় নেতা। আদমপুর কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। এখন তিনি কংগ্রেসের বিধায়ক। ভজনলাল তিনবার হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন। কেন্দ্রের কৃষিমন্ত্রীর পদও সামলেছেন তিনি।
জানা গিয়েছে, কুলদীপের এই সম্পত্তি সকলের চোখের আড়ালে ক্রমশ ফুলে ফেঁপে উঠছে। বিদেশের ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, পানামা, ব্রিটেন ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে এই সম্পত্তি রয়েছে বলে খবর। এছাড়া আয়কর দপ্তরের হিসেব অনুযায়ী ৩০ কোটি টাকা কর ফাঁকি দিয়েছে এই ‘গোষ্ঠী’। এও খবর, এখনও পর্যন্ত আয়কর দপ্তর যে সব তথ্য পেয়েছে তা এনফোর্সমেন্ট ডায়রেক্টরেটকে দিতে পারে তারা। আর যদি তদন্তের জন্য আরও কোনও তদন্তকারী সংস্থা তথ্য চায়, তবে তাদেরও তথ্য দিতে পিছপা হবে না আয়কর দপ্তর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.