সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতি ৫ বছরে কেরলে (Kerala) ক্ষমতা বদলের প্রথা দেখেছে গোটা দেশ। এক বার বামেরা (Left) তো পরের বার কংগ্রেস (Congress) ক্ষমতা দখল করে এসেছে এতদিন। কিন্তু সেই প্রথা এবার ভেঙে দিল সিপিএম নেতৃত্বাধীন লেফট ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট (এলডিএফ)। পর পর ২ বার ক্ষমতা দখল করল বামেরা। বামেদের এই সাফল্যের পিছনে বেশ কয়েকটি কারণ উঠে আসছে। অন্যদিকে দক্ষিণের এই রাজ্যে প্রাণপণ ঝাঁপিয়েও বিশেষ কোনও দাগ কাটতে পারেনি বিজেপি (BJP)।
১৪০ আসনের কেরলে ৯৭টির আসন পাচ্ছে এলডিএফ। ৪৩টি আসন পাচ্ছে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট। গত বিধানসভায় ১টি আসন পেলেও এবার খাতা না খুলতে পারল না বিজেপি। তবে বিজেপি এখানে ক্ষমতা দখল করতে বাকি রাখেনি। একের পর এক কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব লাগাতার প্রচার করে গিয়েছেন। কিন্তু তাতে কেরলের মানুষের মন পায়নি গেরুয়া শিবির।
কেরলের গত ৪০ বছরের রাজনৈতিক ইতিহাসে বামেদের এই প্রথম প্রথা ভেঙে দ্বিতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় ফেরার পিছনে ২টি বড় কারণ উঠে আসছে। ২০১৮ সালে বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে গোটা কেরল। বহু মানুষের প্রাণ যায়। সেই ধাক্কা দক্ষতার সঙ্গে সামাল দেয় পিনারাই বিজয়নের নেতৃত্বাধীন বাম সরকার। সরকারের সেই দক্ষতার কথা মনে রেখেছে মানুষ। সরকারের সেই কাজ ২০২১ সালের ভোটের সময় বামেদের সুবিধাই করে দিয়েছে।
এছাড়া আর একটি বড় কারণ করোনা পরিস্থিতি। দেশের প্রথম করোনা রোগীর খোঁজ মেলে কেরলে। চিনের উহান থেকে এসেছিলেন সেই ব্যক্তি। তার পর করোনার প্রথম ঢেউয়ে যে রাজ্যগুলি সব থেকে বেশি আক্রান্ত হয়েছিল, কেরল তাদের মধ্যে অন্যতম। কিন্তু তথ্য গোপন না করে বার বার মানুষকে সতর্ক করে সেই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে সফল হয় কেরল সরকার। দ্রুত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নত করে মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে। এই দু’টি কারণই কেরলে বামেদের দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় ফিরতে বড় সাহায্য করেছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.