সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলার রসগোল্লা, সীতাভোগ-মিহিদানা আর দার্জিলিংয়ের চায়ের পর এবার জিআই তকমা পেল অসমের গামছা ও সালি চাল। তবে এই প্রথম যে অসম রাজ্যের কোনও পণ্য জিআই তকমা পেল, তা নয়। এর আগে মুগা সিল্ক, তেজপুর লিচি ও কারবি আংলং আদাও জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশনস অফ গুডসের তকমা পেয়েছে।
২০০৭ সালে প্রথম জিআই তকমা পায় অসম। রাজ্যের মুগা সিল্ক পেয়েছিল এই তকমা। এরপর ২০১৫ সালে কারবি আংলং আদা ও তেজপুর লিচি একসঙ্গে জিআই তকমা পেয়েছিল। এবার ফের একসঙ্গে দু’টি পণ্যের জন্য জিআই পেল রাজ্য। একটি গামছা ও অন্যটি সালি চাল। দ্য জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশনস রেজিস্ট্রি জার্নাল গত ২৪ অক্টোবর অসমের ‘গামোসা’ নিয়ে বিবৃতি দেয়। সেখানে বলা হয়, এটি অসমের সনাতনী পোশাক। অসমের সংস্কৃতিতে হ্যান্ডলুম এই গামছার বহুল ব্যবহার রয়েছে। আগে এই ‘গামোসা’র নাম ছিল ‘ফালি’। পরে এর নাম বদলায়। এর দু’পাশে থাকে সুতোর কারুকাজ। থাকে লাল বর্ডারও। এছাড়া কৃষ্ণ, রাম, হরি ইত্যাদি নামও লেখা থাকতে পারে গামছায়। রাজ্যের অনেক বাড়িতেই কুটিরশিল্প হিসেবে এই গামছা তৈরি হয়। বিহু উৎসবে এটি দেখা যায় প্রচুর পরিমাণে। সাধারণত মন্দিরে যাওয়ার সময় এই গামছা গলায় ঝোলানো থাকে অসমীয়দের।
অন্যদিকে সালি চাল, অসমের প্রকৃতির ‘ইউনিক উপহার’। বিশ্বের আর কোথাও এই চাল উৎপাদিত হয় না। তাই এর জন্যও জিআই তকমা চেয়েছিল অসম। রাজ্যের সেই দাবিকে মান্যতা দেওয়া হয়েছে। দ্য জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশনস রেজিস্ট্রি জার্নাল অনুযায়ী, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এই চালের খ্যাতি রয়েছে। এই আঠালো প্রকৃতির হয়। বর্ষার শেষে ও শীতের শুরুতে এর চাষ হয়। এই চাল দিয়ে তৈরি ভাতের স্বাদও অতুলনীয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.