ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চুরির অভিযোগ ছিল। তাই অসমের এক যুবতীকে লকআপের মধ্যে নগ্ন করে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, কোমরের বেল্ট খুলে অভিযুক্ত পুলিশকর্মীরা তাঁর গোপনাঙ্গেও আঘাত করে বলে জানা গিযেছে। ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানার গুরগ্রামে ডিএলএফ ফেজ ওয়ান এলাকায়। এই ঘটনার পরেই গুরগ্রামের পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে ওই থানার ইনচার্জ-সহ চার পুলিশকর্মীকে পুলিশ লাইনে বদলি করা হয়েছে। শুরু হয়েছে বিভাগীয় তদন্তও।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অসমের বাসিন্দা ৩০ বছরের ওই যুবতী ডিএলএফ ফেজ ওয়ান এলাকার একটি বাংলোতে পরিচারিকার কাজ করতেন। গত মঙ্গলবার ওই বাংলোর বাসিন্দারা তাঁর নামে চুরির অভিযোগ দায়ের করেন স্থানীয় থানায়। এরপর তাঁকে থানায় নিয়ে গিয়ে জেরা করেন পুলিশকর্মীরা। পরে ওই যুবতীকে লকআগে পুরে নগ্ন করে বেল্ট দিয়ে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। ক্ষতবিক্ষত করে দেয় তাঁর গোপনাঙ্গ-সহ শরীরের বিভিন্ন অংশ। বিষয়টি জানাজানি হতেই থানার বাইরে ভিড় জমান উত্তর-পূর্ব থেকে এসে ওই এলাকায় বসবাস করা অনেক মানুষ। পরে ওই যুবতী ও তাঁর স্বামীর মুখে সমস্ত কথা শুনে গত বুধবার গুরুগ্রামের পুলিশ কমিশনার মহম্মদ অখিলের অফিসের বাইরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। এর জেরে ডিএলএফ ফেজ ওয়ান থানার অফিসার ইনচার্জ-সহ চার পুলিশকর্মীকে পুলিশ লাইনে বদলি করেন পুলিশ কমিশনার। বিষয়টির বিভাগীয় তদন্তেরও নির্দেশ দেন।
ওই যুবতীর স্বামী বলেন, “ওই থানার এএসআই ও চুরির ঘটনার তদন্তকারী আধিকারিক মধুবালা আমার স্ত্রীকে থানায় ডেকে পাঠান। সেখানে যাওয়ার পর একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে নগ্ন করে বেল্ট ও লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। ওই মহিলা এএসআইয়ের সঙ্গে আরও তিনজন পুলিশকর্মী ছিলেন। যে অপরাধ আমার স্ত্রী করেননি তা স্বীকার করার জন্য বারবার চাপ দিচ্ছিলেন।”
গুরুগ্রাম পুলিশের জনসংযোগ আধিকারিক সুভাষ বোকান বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পরেই ওই পুলিশকর্মীদের পুলিশ লাইনে বদলি করা হয়েছে। পাশাপাশি অভিযুক্ত থানা ইনচার্জ সাহিত কুমার, এএসআই মধুবালা, হেড কনস্টেবল অনিল কুমার ও মহিলা কনস্টেবল কবিতার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.