সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এনআরসি-র লাইনে বহুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর প্রসব যন্ত্রণা উঠেছিল অসমের ধুবরি জেলার ছাপার গ্রামের মাফিদা খাতুনের। কিছুক্ষণ পর গ্রামের কিছু মহিলার সাহায্যে একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে অসমের রাজধানী গুয়াহাটি থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ধুবুরি জেলার দক্ষিণ সালমারা এলাকার ফকিরগঞ্জে।
গত বছরের ৩০ জুলাই অসমে এনআরসি-র আপডেটেড তালিকা প্রকাশিত হয়েছিল। এতে প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষের নাম বাদ যায়। তারপরই এনআরসিতে নাম নথিভুক্ত করতে, নতুন করে প্রায় ৩৬ লক্ষ মানুষ আবেদন করেন। বর্তমানে সেই আবেদনের ভিত্তিতে হাজিরা দিতে হচ্ছে নাগরিকদের। গত বৃহস্পতিবার ফকিরগঞ্জের এনআরসি সেবা কেন্দ্রে আয়োজিত শিবিরে অংশ নেওয়ার জন্য নোটিস পেয়েছিলেন ছাপার গ্রামের মাফিদা।
[আরও পড়ুন-বদলায় খুশি পুলওয়ামা কাণ্ডে শহিদের পত্নী, ফের মোদিকে প্রধানমন্ত্রী চান বাবা]
নির্ধারিত দিনে হাজিরা দিতে না পারলে নাগরিকপঞ্জীতে নাম উঠবে না। এনআরসি-তে নাম না উঠলে সমস্যা বাড়বে, রীতিমতো অস্তিত্বের সংকট তৈরি হতে পারে।তাই, গর্ভবতী অবস্থাতেও ওই শিবিরে হাজিরা দিয়েছিলেন মাফিদা খাতুন। কিন্তু, বহুক্ষণ ধরে সেবা কেন্দ্রের বাইরে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে আচমকা প্রসব যন্ত্রণায় ছটফট করতে শুরু করেন তিনি। বিষয়টি চোখে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দা রবিউল ইসলামের। সঙ্গে সঙ্গে মাফিদা খাতুনের এলাকায় খবর দেন তিনি। তারপর স্থানীয় মহিলাদের সাহায্যে একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন মাফিদা। বর্তমানে মা ও সন্তান দুজনেই সুস্থ আছেন বলে জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন- মুনমুনের পোস্টারে মহানায়িকার ছবি, তৃণমূল প্রার্থীকে কটাক্ষ বাবুলের]
এই ঘটনার পরেই দক্ষিণ সালমারা জেলার অল অসম স্টুডেন্ট ইউনিয়ন(আসু)-র তরফে স্থানীয় এনআরসি সেবা কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের কাছে মাফিদা খাতুনের পরিবারের হাজিরার দিন পরিবর্তন করার আবেদন জানানো হয়। এর পাশাপাশি গর্ভবতী মহিলা, বয়স্ক মানুষ ও শিশুদের শুনানির জন্য এনআরসি সেবা কেন্দ্রে যাতে না আসতে হয় তার ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করেছে তারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.