Advertisement
Advertisement

অসমে আগুন জ্বলবে, এবার হুঁশিয়ারি উলফা নেতা অনুপের

পরেশ বড়ুয়ার সঙ্গে উলফা গড়েছিলেন অনুপ চেতিয়া ওরফে গোলাপ বড়ুয়া।

Assam: ULFA leader spews venom
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:November 5, 2018 11:44 am
  • Updated:November 5, 2018 11:44 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রের সঙ্গে শান্তি আলোচনা ভেস্তে দিতে চক্রান্ত হচ্ছে বলে মনে করছেন উলফার আলোচনা-পন্থী নেতা অনুপ চেতিয়া। তিনসুকিয়ায় সাম্প্রতিক গণহত্যার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, কায়েমি স্বার্থের জন্যই এই ঘটনায় সংগঠনের আলোচনা-পন্থীদের দায়ী করা হচ্ছে। আলোচনা যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে, তখন সেই শান্তি প্রক্রিয়াকে বিপথে চালনার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি, নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল নিয়েও কেন্দ্রকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চেতিয়া। তাঁর দাবি, ওই বিল নিয়ে কেন্দ্র সরকার এগোতে থাকলে অসমে আগুন জ্বলবে। আর তখন আলোচনা-বিরোধী গোষ্ঠী উলফা (স্বাধীন)-এর বাড়বাড়ন্ত হবে।

[তিনসুকিয়া গণহত্যা: নিহতদের পরিবারকে নিয়ে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হচ্ছে তৃণমূল]

Advertisement

১৯৭৯-এর ৭ এপ্রিল পরেশ বড়ুয়া, অরবিন্দ রাজখোয়া, প্রদীপ গগৈ, ভদ্রেশ্বর গোঁহাই, বুধেশ্বর গগৈয়ের সঙ্গে উলফা গড়েছিলেন অনুপ চেতিয়া ওরফে গোলাপ বড়ুয়া। ১৯৯২ থেকে তিনি ফেরার ছিলেন। ’৯৭ সালে বাংলাদেশে গ্রেপ্তার হন অনুপ। সাজার মেয়াদ শেষ হলেও বাংলাদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে সেখানকার জেলেই রয়ে গিয়েছিলেন। বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি হওয়ার পর, বাংলাদেশ তাঁকে ভারতের হাতে তুলে দেয়। বর্তমানে তিনি আলফার আলোচনা-পন্থী অংশের নেতা।

বর্তমানে নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল যৌথ সংসদীয় কমিটিতে রয়েছে। বিলের খসড়ায় বলা হয়েছে, পাকিস্তান, আফগানিস্তান বা বাংলাদেশের মতো দেশগুলি থেকে হিন্দু, পার্সি, শিখ, খ্রিস্টান এবং বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী–যাঁরা সেই দেশে সংখ্যালঘু, ভারতে এলে তাঁদের শরণার্থী হিসাবে মেনে নিয়ে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। ওই সব দেশ থেকে সংখ্যাগুরুরা এলে তাঁদের অনুপ্রবেশকারী হিসাবেই ধরা হবে। অসমের বিভিন্ন ভূমি-গোষ্ঠী বিলের খসড়ার এই ধারায় আপত্তি জানিয়েছে। তাঁদের মতে, এটি ১৯৯৪ সালের ‘অসম অ্যাকর্ড’-এর পরিপন্থী। ভারতে প্রত্যর্পণের পর থেকে জামিনে থাকা নেতা অনুপ চেতিয়া কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার রাতে তিনসুকিয়ায় পাঁচ বাঙালি খুনের ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। দরিদ্রদের ‘টার্গেট’ করা হচ্ছে। পুলিশের দাবি, উলফা (স্বাধীন) গোষ্ঠী এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী। যদিও নিষিদ্ধ সংগঠনটি তা অস্বীকার করেছে। এই ঘটনার জন্য কায়েমি স্বার্থ ও রাজনৈতিক নেতাদের প্ররোচনামূলক মন্তব্যকে দায়ী করেছেন চেতিয়া।

[বিদেশি সাহায্যেই তৈরি ‘স্ট্যাচু অফ ইউনিটি’! দাবি ব্রিটিশ মিডিয়ার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement