সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অসমে বড় ধাক্কা তৃণমূলের। এক যোগে দল ছাড়লেন অসম তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি রিপুন বোরা-সহ একঝাঁক নেতা। রবিবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে পদত্যাগ করেন রিপুন। পাশাপাশি তৃণমূলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। দলত্যাগের পাশাপাশি ঘাসফুলের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি।
২০২২ সালে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন ৬৮ বছরের রিপুন বোরা(Ripun Bora)। রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেবের সঙ্গে কলকাতায় এসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে পতাকা তুলে দেন তিনি। দল তাঁকে অসমের সভাপতির দায়িত্ব দেয়। তবে মাত্র দু বছরের মাথায় ঘাসফুল ছাড়লেন রিপুন। রবিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে দলত্যাগের কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন, অসমের মানুষের কাছে তৃণমূল গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। অসমবাসী তৃণমূলকে গ্রহণ করেনি। তাঁরা এই দলকে পশ্চিমবঙ্গের আঞ্চলিক দল হিসেবেই দেখেন। ফলে অসমে তৃণমূলের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। পাশাপাশি শীর্ষ নেতৃত্বকে একাধিক প্রস্তাব পাঠানো হলেও তা মানা হয়নি বলে অভিযোগ করেন রিপুন।
চিঠিতে তিনি লিখেছেন, অসমে তৃণমূলের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। তবে একাধিক ইস্যুর জেরে পদে পদে তা বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। আমরা তৃণমূলকে প্রস্তাব দিয়েছিলাম অসমের নেতাকে জাতীয় স্তরে তুলে ধরার জন্য। টালিগঞ্জে ভূপেন হাজারিকার বাড়িকে হেরিটেজ ঘোষণা ও কোচবিহারের মধুপুর সত্রকে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার জন্য। তবে তা মানা হয়নি। শুধু তাই নয় রিপুনের অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার চেষ্টা করেছেন। তবে প্রতিবার ব্যর্থ হয়েছেন বলে দাবি তাঁর। এই সব ক্ষোভ থেকেই অবশেষে দলত্যাগ করলেন অসম তৃণমূলের সভাপতি রিপুন বোরা।
রিপুনের পাশাপাশি দল ছেড়েছেন, অসম তৃণমূলের সাংগঠনিক সম্পাদক অরূপজ্যোতি ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক গজেন্দ্র প্রসাদ উপমন্যু এবং সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার হুসেন-সহ আরও অনেকে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলের দাবি, এক দিকে যখন আরজি কর ইস্যুতে রাজ্যে ব্যাপক আন্দোলনের জেরে কিছুটা হলেও চাপে শাসকদল। ঠিক সেই সময় অসমে দলের অন্দরে ভাঙন চিন্তায় রাখবে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.