ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউনে দীর্ঘ হতাশার মধ্যে এক টুকরো আশার আলো দেখতে পেলেন অসমের চা বাগানের শ্রমিকেরা। খুব অল্প পরিমাণে হলেও চা বাগানে ঢুকে পরিচর্যার কাজ করার অনুমতি পেলেন চা শ্রমিকেরা। অসমের জেলা শাসকের কাছ থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর কোভিড-১৯ প্রোটোকল (COVID-19 protocol) মেনেই তারা এই কাজ করার ছাড় পান। লকডাউন শুরু হওয়ার পর ২৪ মার্চ থেকে বন্ধ হয়ে যায় দেশের সমস্ত চা বাগানগুলি।
অসমের চা বাগানগুলিতে কর্মীদের জরুরি পরিষেবার ভিত্তিতে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়। যেমন, চা বাগানগুলিতে কীটনাশক স্প্রে করা, প্রয়োজনে চা গাছের পরিচর্যা করা, বাগানের আগাছা সাফাই করা। লকডাউনে অনির্দিষ্টকালের জন্য চা বাগানগুলি বন্ধ করে দিলেও বাগানের গাছগুলি যাতে নষ্ট না হয়ে যায় তাই সেদিকেই গুরুত্ব দিতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। অন্যদিকে দিন আনা-দিন খাওয়া শ্রমিকদের কথা ভেবে ও তাদের সক্রিয় রাখতে ন্যূনতম পর্যায়ে এই কাজ শুরু করার পরিকল্পনা করা হয়। কারণ, অসম সরকার সোমবারই ঘোষণা করে যে তারা বাগানের পরিচর্যার কাজকে লকডাউনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখবেন না। ১ এপ্রিল পর্যন্ত চলা লকডাউনে চা গাছগুলি যাতে নষ্ট না হয় সেদিকেই খেয়াল রাখতে তৎপরতা দেখায় অসম প্রশাসন। তবে সেই কাজ করার ক্ষেত্রেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হয়। অসমের প্রায় ৮০০ চা বাগানে লক্ষাধিক শ্রমিকেরা কাজ করেন। বাগানগুলির পরিচর্যার কাজকে লকডাউনের আওতার বাইরে রাখলে গাছগুলি কিছুটা যত্নে থাকবে বলেই মত প্রশাসনের। ইতিমধ্যেই লকডাউনের জেরে মাথায় হাত পড়েছে চা বাগানমালিকদের। তারা সরকারের কাছে এই বাগনগুলি খোলার জন্য লিখিত আবেদন করেন। সেই লিখিত আবেদনের মাধ্যমে তারা কর্মীদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, হ্যান্ড স্যানিটাইজ করা-সহ নানা বিধি মেনে চলারও আশ্বাস দেন। তারপরই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে চা বাগানগুলি খুলে দেওয়া হয় পরিচর্যার কাজ করার জন্য। সরকারকের তরফ থেকে পরিচর্যার কাজে নিয়োজিত কর্মীদের প্রোটেক্টিভ গিয়ার দেওয়ার কথা বলেন।
তবে অসমের উইলিয়মসনমেগর ও এপিজে-র মত বড় চাবাগানগুলি পরিচর্যার জন্য খোলা রাখার অনুমতি পেলেও তুলনামূলকভাবে ছোট চা বাগানগুলি খোলার অনুমতি মেলেনি। ফলে এখনও আশঙ্কায় ভুগছেন চা শ্রমিকেরা। অন্যদিকে লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির ফলে ক্রমেই বেকারত্বে চিন্তা ভাবাচ্ছে শ্রমিকদের। বিকল্প খুঁজতে তাই সরকার-সহ মালিকদের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে তারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.