Advertisement
Advertisement
Assam Police

ফের অসম পুলিশের জালে আনসারুল্লার ২ জঙ্গি, বানচাল বড়সড় নাশকতার ছক

ভারতকে রক্তাক্ত করার ছক বাংলাদেশের জেহাদি সংগঠন আনসারুল্লা বাংলা টিমের!

Assam Police arrested two more members of the Ansarullah Bangla Team (ABT)

ধৃতদের কাছে থেকে বিপুল অস্ত্র, গোলা-বারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।

Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:December 25, 2024 8:39 pm
  • Updated:December 25, 2024 8:43 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের অসম এসটিএফের জালে আনসারুল্লা বাংলা টিমের (এবিটি) দুই জঙ্গি। মঙ্গলবার গভীর রাতে অসমের কোকরাঝড় জেলার নামাপাড়া থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। কয়েকদিনের মধ্যেই দেশে বড়সড় নাশকতার ছক ছিল আল কায়দার ছায়া সংগঠনটির। কিন্তু সেই পরিকল্পনা বানচাল করে দিয়েছে পুলিশ। ধৃতদের কাছে থেকে বিপুল অস্ত্র, গোলা-বারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।

ভারতকে রক্তাক্ত করার ছক বাংলাদেশের জেহাদি সংগঠন আনসারুল্লা বাংলা টিমের! ভারতজুড়ে স্লিপার সেল তৈরির পরিকল্পনা করছে। তরুণ প্রজন্মের মগজধোলাই করে জেহাদের বিষ ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে জঙ্গিরা। কয়েকদিন মধ্যেই বড়সড় বিস্ফোরণের নকশা তৈরি করেছিল এবিটির জেহাদিরা। বিভিন্ন গোয়েন্দা সূত্রে এমনই খবর পেয়ে অভিযানে নামে অসম পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। তল্লাশি চালিয়ে এদিন রাতে দুই জঙ্গির ডেরার হদিশ পায় পুলিশ। ধৃতদের নাম আবদুল জাহির শেখ ও সাব্বির মৃধা।

Advertisement

এনিয়ে বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিজিপি হরমিত সিং জানিয়েছেন, “অসম এসটিএফ ফের বড় সাফল্য পেয়েছে। নামাপাড়া থেকে এবিটির দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের নাশকতার ছক ভেস্তে দেওয়া হয়েছে।” জানা গিয়েছে, ওই ডেরা থেকে একে সিরিজের অ্যাসল্ট রাইফেল, ৩৪টি বুলেট, ২৪ রাউন্ড ফাঁকা কার্তুজ, এক জোড়া লাইভ আনপ্রাইমড ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি), একটি ক্রুড গ্রেনেড, কৃষি সরঞ্জাম দিয়ে তৈরি ডেটোনেটর, ১৪টি ইলেকট্রনিক সুইচ-সহ আরও নানা অস্ত্রসস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। কয়েকদিন আগেই জঙ্গি দমনে ‘অপারেশন প্রঘাত’ শুরু অসম পুলিশ। পশ্চিমবঙ্গ ও কেরল পুলিশের সঙ্গে তাদের যৌথ অভিযানে ধরা পরে এবিটির ৮ জঙ্গি। এদের মধ্যে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয় অসম থেকেই।

অসম পুলিশ জানিয়েছিল, ওই ৮ জনের মধ্যে ধৃত এমডি সাদ রাদি ওরফে মহম্মদ শাব শেখ বাংলাদেশের নাগরিক। তাকে পাকড়াও করা হয় কেরল থেকে। ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে জেহাদের বিষ ছড়াতে ওই বাংলাদেশি জঙ্গিকে গত নভেম্বর মাসেই পাঠানো হয়েছিল। মহম্মদ ফারহান ইসরাকের নেতৃত্বে বিভিন্ন রাজ্যে মডিউল তৈরির পরিকল্পনা চলছে। এই ইসরাক আনসারুল্লা বাংলা টিমের প্রধান জসীমউদ্দিন রহমানির খুব কাছের সহযোগী। প্রসঙ্গত, পরিবর্তনের বাংলাদেশে সম্প্রতি এই রহমানিকেই জেল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তারপর সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বাড়িয়ে তুলেছে এবিটি। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ জানায়, এবিটিয়ের প্রধানের নির্দেশেই এই স্লিপার সেল তৈরির চলছে। বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ ঘটাচ্ছে জেহাদিরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement