Advertisement
Advertisement
অখিল গগৈ

জেলেই মারণ ভাইরাসের ছোবল, করোনা আক্রান্ত অসমের কৃষক নেতা অখিল গগৈ

গুয়াহাটির কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন তিনি।

Assam peasant leader Akhil Gogoi found coronavirus positive
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:July 9, 2020 1:33 pm
  • Updated:July 9, 2020 1:38 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা আক্রান্ত অসমের জেলবন্দি কৃষক নেতা তথা সমাজকর্মী অখিল গগৈ। বর্তমানে গুয়াহাটির কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন তিনি। গত ডিসেম্বর মাসে তাঁকে সংশোধিত ইউএপিএ (UAPA) ধারায় গ্রেপ্তার করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA)।

[আরও পড়ুন: ফের মিথ্যাচার চিনের! গালওয়ান থেকে সরলেও প্যাংগংয়ে মোতায়েন বহু চিনা সেনা]

শরীরের করোনার উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর গত মঙ্গলবার অখিল গগৈর লালারস সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। আজ সেই পরীক্ষার ফল এলে জানা যায়, কৃষক নেতার শরীরের বাসা বেঁধেছে মারণ ভাইরাসটি। চিকিৎসার জন্য তাঁকে গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হবে বলে খবর। এদিকে, তাঁর সঙ্গে এনআইএর মামলায় বন্দি থাকা কৃষক নেতা বিট্টু সোনওয়াল ও ধৈর্য কোঁওরের শরীরেও  করোনা ধরা পড়েছে। উল্লেখ্য, অখিলের নেতৃত্বে কারাগারের বন্দিরা গত মাস থেকেই আন্দোলন চালাচ্ছেন। তাঁদের দাবি, করোনার অজুহাতে পরিবার বা আইনজীবীদের সঙ্গে বন্দিদের দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু কারাগারের ভিতরে কোনও নিয়ম মানা হচ্ছে না। নতুন কয়েদিদের এনে এক সঙ্গেই রাখা হচ্ছে।

Advertisement

কয়েকদিন আগেই ‘কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতি’র প্রতিষ্ঠাতা অখিল গগৈয়ের অসুস্থতার কথা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পায়। জানা যায়, করোনার উপসর্গ দেখা দিয়েছে তাঁর শরীরে। যদিও সেই সমস্ত খবর উড়িয়ে দেন অসমের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব জিষ্ণু বরুয়া। কিন্তু বিতর্ক থেমে থাকে না। একটি ফেসবুক পোস্টে অখিল গগৈই পত্নী গীতাশ্রী তামুলি অভিযোগ করেন, করোনা সংক্রমণের নামে বিগত দু’মাস ধরে পরিবারের কাউকেই অখিলের সঙ্গে দেখা করতে দিচ্ছে না জেল কর্তৃপক্ষ। গুয়াহাটির বি বড়ুয়া কলেজে অসমীয়া ভাষার অধ্যাপিকা গীতাশ্রী আরও লেখেন, ‘অনেকেই তাঁর সম্পর্কে খোঁজ নেন, কিন্তু আমি কিছুই জানি না।’

উল্লেখ্য, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (CAA) বিরুদ্ধে চলা আন্দোলনের অন্যতম মুখ অখিল গগৈ। মাওবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ দেশের মধ্যে যুদ্ধ বাঁধানোর চেষ্টা করছেন, এই সন্দেহে আগে থেকেই তাঁর উপর নজর রেখেছিলেন এনআইএ গোয়েন্দারা। CAA’র প্রতিবাদ করায় তাঁদের সেই সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়। আর দেশদ্রোহিতা আইনের সংশোধিত ধারা অনুযায়ী, কাউকে ‘জঙ্গি’ বলে সন্দেহ হওয়ামাত্রই তাঁকে গ্রেপ্তার করা যাবে। সেইমতো অখিল গগৈকে গ্রেপ্তার করে এনআইএ (NIA)। আইনজ্ঞদের একাংশের দাবি, দেশদ্রোহিতা আইনের নতুন ধারাটি কার্যকর হওয়ার পর অখিল গগৈই প্রথম ব্যক্তি, যাঁর উপর লাগু হয় এই ধারা।

[আরও পড়ুন: করোনা আবহে নতুন দিশা দেখাচ্ছে ভারত, আজ বিশ্ববাসীর উদ্দেশে ভাষণ মোদির]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement