মণিশংকর চৌধুরি, গুয়াহাটি: এই মুহূর্তে রাজনৈতিকভাবে সাম্প্রতিককালের মধ্যে সবচেয়ে ডামাডোল পরিস্থিতি অসমে। একদিকে, এনআরসি বিল নিয়ে বাঙালিদের তীব্র অসন্তোষ, অন্যদিকে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে অসমের ভূমিপুত্রদের রোষ। এসবের মধ্যেই আজ উত্তর-পূর্বের রাজ্যটিতে প্রথম দফার পঞ্চায়েত নির্বাচন চলছে। দ্বিতীয় দফার নির্বাচন আগামী ৯ ডিসেম্বর।
প্রথম দফায় মোট ১৬টি জেলায় ভোট হচ্ছে। উত্তর-পূর্ব অসমের ১৬টি জেলা হল, ধেমাজি, লাখিমপুর, তিনসুকিয়া, ডিব্রুগড়, শিবসাগর, চরাইদেউ, জোরহাট, মাজুলি, নগাঁও, বিশ্বনাথ, শোনিতপুর, ডরং, মরিগাঁও, কামরূপ এবং কামরূপ মেট্রো। এই ১৬টি জেলা রাজনৈতিকভাবে ২৭ ভাগে বিভক্ত। মোট ১৫ হাজার ৮৯৯টি আসনে নির্বাচন হচ্ছে। মোট প্রার্থীর সংখ্যা ৪৩ হাজার ৫১৫টি। এর মধ্যে ২৫১টি জেলা পরিষদের আসনের জন্য লড়াইয়ে আছেন ৮৮১ জন প্রার্থী। ১ হাজার ৩০৪টি আঞ্চলিক পঞ্চায়েত আসনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩ হাজার ৯৩৫ জন। ১ হাজার ৩৪০টি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান পদের জন্য লড়ছেন ৪ হাজার ৯৯৩ জন। আর ১৩ হাজার ৪০টি পঞ্চায়েত সদস্য পদের জন্য লড়াইয়ে আছেন ৩৫ হাজার ৪২৩ জন। ভোটগ্রহণের জন্য মোট ১৪ হাজার ৭৭টি ভোটকেন্দ্র খোলা হয়েছে। উত্তপ্ত পরিস্থিতি নির্বাচনে অশান্তি এড়াতে কড়া নিরাপত্তারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ভোটে অশান্তির কোনও খবর নেই।
লোকসভার পাঁচ মাসে আগে অসমের এই স্থানীয় নির্বাচন বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্যটির বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিও বেশ উত্তপ্ত। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ইস্যুতে ইতিমধ্যেই দুই জোট শরিক বিজেপি এবং অসম গণ পরিষদের (অগপ) মধ্যে তুমুল বিবাদ শুরু হয়েছে। যার ফলস্বরূপ পঞ্চায়েতে জোট ছেড়ে আলাদা লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অগপ। যদিও, অসমে মূল লড়াই শাসক বিজেপি এবং কংগ্রেসের মধ্যে। রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, এনআরসি এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল বিজেপির জন্য শাঁখের করাতের মতো। না বাঙালি, না অসমের ভূমিপুত্র, কোনও অংশই সন্তুষ্ট নয় গেরুয়া শিবিরের উপর। তাই পঞ্চায়েত ভোট কংগ্রেস হারানো জমির কিছুটা পুনরুদ্ধার করলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। এদিকে, এবারে অসমের পঞ্চায়েত ভোটে লড়ছে তৃণমূলও। উত্তর-পূর্বের রাজ্যটিতে ভাল ফলের আশায় তারাও।
#Assam local body elections: Voting underway at a polling booth in Guwahati pic.twitter.com/uAQXupjvbc
— ANI (@ANI) December 5, 2018
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.