স্টাফ রিপোর্টার: বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দেখানো পথেই এবার অসমের পুজোতে অনুদানের সিদ্ধান্ত নিল হিমন্ত বিশ্ব শর্মার (Himanta Biswa Sarma) বিজেপি সরকার। অসমের দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে এবছরই দশ হাজার করে অনুদান দেবে বলে ঘোষণাও করেছে সেখানকার বিজেপি সরকার।
মঙ্গলবার অসমের মুখ্যমন্ত্রী মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে খবর। একেবারে বাংলার মমতা-মডেল অনুকরণ করে অসমের ৬ হাজার ৯৫৩টি পুজো কমিটিকে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতেই গেরুয়া শিবিরকে তীব্র কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ, বাংলায় পুজোকমিটিগুলিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের অনুদান দেওয়া নিয়ে বিজেপি-সহ বিরোধীরা তীব্র সমালোচনা করেছে বছরের পর বছর। এমনকী ঘুরপথে আদালতে গিয়েও অনুদান বন্ধের চেষ্টাও করেছিল বিরোধীরা। অথচ, সেই বিজেপি সরকারই মা-মাটি-মানুষ সরকারের পথে হেঁটে অসমে পুজোয় অনুদান চালু করল।
অসমের বিজেপি সরকারের অনুদানের সিদ্ধান্তকে তীব্র কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বুধবার বলেন, “বিজেপির উচিত নাকখত দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ক্ষমা চাওয়া। কারণ, এতদিন তো ওরা কুৎসা, অপপ্রচার করেছে। এবার লক্ষ্মীর ভান্ডারের (Laxmir Bhandar) পর বাংলার সমস্ত প্রকল্পের অনুকরণ করে ওরা। আবারও পুজো নিয়েও ‘মমতা মডেলে’র নকল হল। তাই মমতার সমালোচনার জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত বিজেপির।”
উল্লেখ্য, বাংলার মতোই প্রতিবেশী রাজ্য অসমেও ধুমধাম করে দুর্গাপুজোর আয়োজন হয়ে থাকে। পুজোয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুদান দেওয়ার বিষয়টিকে বিজ্ঞান বলে দাবি করেন কুণাল। বলেন, ‘‘এইভাবে অনুদান দিয়ে পুজোয় অর্থনৈতিক স্রোত চালু করা হয়। প্রতিটি কমিটিকে অনুদান দিয়ে পুজো-অর্থনীতিকে অক্সিজেন যোগানো হয়। এটা একটা সম্পূর্ণ নতুন পথ দেখিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। পুজো অর্থনীতির মাধ্যমে অর্থনৈতিক শৃঙ্খলের যে বিকেন্দ্রীকরণ করা যায় তাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখিয়েছেন। আর সেই কারণে অসমের বিজেপির সরকারও বাংলার তৃণমূল সরকারকে অনুকরণ করতে বাধ্য হল।’’ এর আগে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অনুকরণ করেছে কংগ্রেস ও বিজেপি পরিচালিত একাধিক অন্য রাজে্যর সরকার বলেও দাবি তৃণমূলের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.