Advertisement
Advertisement

করোনার সংক্রমণের মধ্যেই বানভাসি অসমে মৃত বেড়ে ৯২, ক্ষতিগ্রস্ত ৩৬ লক্ষের বেশি

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছে তাঁর সরকার, দাবি মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়ালের।

Assam floods: Toll rises to 92 as seven more die; nearly 36 lakh affected
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:July 16, 2020 3:45 pm
  • Updated:July 16, 2020 3:45 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একদিকে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি অন্যদিকে প্রবল বর্ষণের ফলে সৃষ্টি হওয়া বন্যা (flood) পরিস্থিতি। জোড়া আক্রমণের ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে অসম (Assam) -এর জনজীবন। এখনও পর্যন্ত বন্যা ও তার ফলে হওয়া ভূমিধসের ফলে সেখানে কমপক্ষে ৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩৬ লক্ষের গণ্ডি।

বৃহস্পতিবার অসমের রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। এর ফলে ব্রহ্মপুত্র-সহ বেশিরভাগ নদ-নদীর জলই বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন জায়গাতে বন্যার ফলে ৬৬ জন ও বৃষ্টির জেরে হওয়া ভূমি ধসের ফলে ২৬ জনের মৃত্যু খবর পাওয়া গিয়েছে। তারমধ্যে বুধবারই বন্যায় মারা গিয়েছেন সাতজন। এদের মধ্যে মরিগাঁও জেলার তিন জন, বরপেটা ও সোনিতপুর জেলার ২ জন করে মোট চারজন ও গোলাঘাট জেলার একজন বাসিন্দা রয়েছেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: নভেম্বরে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াবে কোটির গণ্ডি! বিজ্ঞানীদের সমীক্ষায় চাঞ্চল্য ]

ওই বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বুধবার পর্যন্ত অসমের ২৬টি জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জলের তলায় চলে গিয়েছে। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৩৬ লক্ষের বেশি মানুষ। সবথেকে ভয়ানক পরিস্থিতি হয়েছে ধুবরি জেলার। এখানে বন্যার ফলে সাড়ে পাঁচলক্ষের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাঁদের চাষের জমি জলের তলায় চলে যাওয়ার পাশাপাশি অনেকের ঘরবাড়ি ভেসে গিয়েছে। ফলে বেশিরভাগ মানুষই সরকারি শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। এর পাশাপাশি বরপেটা, গোয়ালপাড়া, ধেমাজি, লক্ষ্ণীপুর, বিশ্বনাথ, সোনিতপুর, দারাং, বাকসা, নলবাড়ি, কোকরাঝোড় ও কামরূপ-সহ বাকি ২৫টি জেলার অবস্থাও ভয়াবহ হয়ে পড়েছে। মোট ৯৩টি রাজস্ব এলাকার ৩৩৭৬টি গ্রামের এক লক্ষ ২৮ হাজার হেক্টর জমি জলের তলায় চলে গিয়েছে। সরকারের তরফে ২৩টি জেলায় ৬২৯টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। সেখানে এখনও পর্যন্ত আশ্রয় নিয়ে ৪০ হাজারের বেশি মানুষ।

বুধবার বন্যা বিপর্যস্ত মানুষদের সঙ্গে কথা বলতে জোরহাট জেলার একটি ত্রাণ শিবিরে যান অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল। পরে পরিদর্শনের ছবি টুইট করে তিনি জানান, বন্যা বিপর্যস্ত এলাকার মানুষকে সাহায্য করার জন্য আমাদের সরকার সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে। সবজায়গায় যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কাজ চলছে।

[আরও পড়ুন: কোনও শর্ত ছাড়াই কুলভূষণ যাদবকে ‘কটূনৈতিক রক্ষাকবচ’ দিতে হবে, পাকিস্তানকে কড়া বার্তা ভারতের ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement