সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একদিকে করোনার তাণ্ডব অন্যদিকে বন্যা (floods) । দুটি বিপর্যয়ের জাঁতাকলে পড়ে নাভিশ্বাস উঠছে অসমবাসীর। এমনিতেই রাজধানী গুয়াহাটিতে সংক্রমণ দ্রুত গতিতে বাড়তে থাকায় ১৪ দিনের জন্য সম্পূর্ণ লকডাউন চালু হয়েছে। ঠিক তখনই গত কয়েক সপ্তাহ ধরে হয়ে চলা প্রবল বর্ষণের ফলে রাজ্যের ২৩টি জেলার ২ হাজার ৭১টি গ্রাম বানভাসি হয়ে পড়েছে। আর এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৯ লক্ষ ২৬ হাজারের বেশি মানুষ। পরিস্থিতি সামাল দিতে রবিবারই অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়ালের সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। অসমের এই দুর্দিনে কেন্দ্র সবরকম সহযোগিতা করার চেষ্টা করবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন।
#WATCH: Villages of Kalakhowa area in Dibrugarh district have been flooded following heavy rainfall in Assam. pic.twitter.com/HSePWXV4RE
— ANI (@ANI) June 29, 2020
অসমের রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ (ASDMA) -এর তরফে জানানো হয়েছে, মে মাসের ২২ তারিখ থেকে দফায় দফায় হওয়া প্রবল বর্ষণের জেরে অসমের ২৩টি জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জলমগ্ন। এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গা থেকে বন্যার ফলে ২০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। ভূমি ধসের প্রাণ হারিয়েছে ২৩ জন। করোনার সংক্রমণের পাশাপাশি বন্যার জেরে দমবন্ধ হয়ে আসছে মানুষের। এদিকে বৃষ্টি থামারও কোনও নামগন্ধ নেই। ফলে ফুঁসছে ব্রহ্মপুত্র-সহ অন্যান্য নদ-নদী।
ইতিমধ্যে ধেমাজি, বিশ্বনাথ, উদালগুড়ি, তিনসুকিয়া, পশ্চিম কার্বি আংলং, হোজাই, ডিব্রুগড়, বঙ্গাইগাঁও, মাজুলি, জোরহাট, নগাঁও, ধুবরি, দারাং, কোকরাঝোড়, শিবসাগর-সহ ২৩ জেলার ৯ লক্ষের বেশি মানুষের ক্ষতি হয়েছে। হাজার হাজার হেক্টর চাষের জমি চলে গিয়েছে নদীর জলের তলায়। ফলে বহু টাকার ফসল নষ্ট হয়েছে। নিখোঁজ হয়ে প্রচুর গৃহপালিত পশুও।
রবিবার এই বিষয় নিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়ালের সঙ্গে কথা বলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি ঠেকানোর চেষ্টা করার পাশাপাশি বন্যাদুর্গতদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসা হয়েছে। সমস্ত জায়গায় সরকারি বিধিনিষেধ মেনেই কাজ করার চেষ্টা হচ্ছে। অমিত শাহও অসমের মুখ্যমন্ত্রীকে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সবরকম সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.