ছবি - প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাঠুয়া থেকে উন্নাও৷ দেশের দুই প্রান্তের ধর্ষণের ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছিল দেশবাসীকে৷ প্রতিবাদে এক হয়েছিলেন সকলে৷ ঝড় উঠেছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়৷ দাবি উঠেছিল, ধর্ষণে অভিযুক্তদের ঝোলানো হোক ফাঁসির কাঠে৷ দেশের রাজনীতিতে ঝড় ওঠার পর ধর্ষণ রুখতে পুলিশকে আরও কড়া হওয়ার নির্দেশ পাঠায় কেন্দ্র৷ জারি হয় অর্ডিন্যান্স৷ কিন্তু, ধর্ষণ রুখতে যাঁদের ভূমিকা সব থেকে বেশি, সেই পুলিশকেই এবার দেখা গেল ‘ভক্ষকে’র ভূমিকায়৷ ধর্ষণ রুখে নয়, বরং থানা চত্বরে যুবতীকে ধর্ষণ করে সংবাদ শিরোনামে উঠে এল অসমের কামরূপ জেলার হাজো এলাকা৷
সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশ কোয়ার্টারের মধ্যে যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগে ইতিমধ্যেই এক পুলিশ অফিসার বিনদকুমার দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ ধৃত পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে হাজো থানার পুলিশ৷ কামরূপ জেলা পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ধৃত পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেবে পুলিশ৷ ঘটনার তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য ইতিমধ্যেই নির্যাতিতার মেডিক্যাল টেস্ট করিয়েছে পুলিশ৷ মেডিক্যাল রিপোর্টে প্রাথমিক ভাবে ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে বলে জানা গিয়েছে৷ পুলিশের অফিসারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মতো গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ উঠতেই অসম সরকারের তরফে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে৷ পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে কড়া ধারায় মামলা রুজু করারও আর্জি জানানো হয়েছে৷
অভিযোগ, পুলিশে চাকরি দেওয়ার নামে সম্প্রতি এক যুবতীকে নিজের কোয়ার্টারে ডাকে অভিযুক্ত ওই পুলিশ অফিসার৷ বন্ধ ঘরে ওই যুবতীকে লাগাতার ধর্ষণ করা হয়৷ এদিনের এই ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই যুবতী৷ শুরু হয় তাঁর চিকিৎসা৷ গোটা ঘটনাটি জানাজানি হতেই অভিযুক্ত ওই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন ওই নির্যাতিতা৷ পরে ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.