সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অসম আর মহারাষ্ট্র, ভৌগোলিকভাবে দু’টি রাজ্যের দূরত্ব অনেকটা। কিন্তু আরব সাগরের তীরের রাজ্যের রাজনৈতিক ভাগ্যের সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে ব্রহ্মপুত্র পাড়ের রাজ্যের নাম। মহারাষ্ট্রের ‘বিদ্রোহী’ বিধায়করা আশ্রয় নিয়েছে গুয়াহাটি হোটেলে। অভিযোগ, তাঁদের জামাই আদর করছে হিমন্ত বিশ্বশর্মার (Himanta Biswasharma) সরকার। হোটেলের খরচও সামলাচ্ছে বন্যাবিধ্বস্ত রাজ্যের সরকার। বিরোধীদের এহেন অভিযোগ উড়িয়ে কড়া জবাব দিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী (Assam CM) হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তাঁর পালটা প্রশ্ন, “যে কেউ কোথাও আসতেই পারেন। থাকতেও পারেন। তা বলে ওঁদের খরচ কি আমরা মেটাচ্ছি?”
অসমের (Assam) মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “আমি বুঝতে পারছি না যে বন্যার সঙ্গে শিব সেনার (Shiv Sena) বিধায়কদের অসমে আসার কী সম্পর্ক? বন্যা মানে তো এটা নয় যে কেউ অসমে আসতে পারবেন না। হোটেল ফাঁকা পড়ে থাকবে। আরে বাবা এটা তো করোনা পরিস্থিতি নয়, যে আমরা লকডাউন কার্যকর করেছি। বা করোনাবিধির জন্য হোটেল ফাঁকা রাখতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “গুয়াহাটিতে ২০০ হোটেল রয়েছে। বহু ,সীমানা রয়েছে। অসমের বিভিন্ন প্রান্তে বন্যা হয়েছে মানে তো এটা নয় যে সবাইকে বলব হোটেল ফাঁকা করে চলে যাও।” এর পরই বিশ্বশর্মার টিপ্পনী, “যাঁরা আসছেন তাঁদের নিরাপত্তা এবং সুযোগ-সুবিধা দেখা আমাদের দায়িত্ব। মহারাষ্ট্র বিজেপি কী করছে, সেটা আমার দেখার কথা নয়। আর আমি জানিও না। কংগ্রেসের বিধায়করা আসতে চাইলে, তাঁদেরও স্বাগত।”
এর পরই বিরোধীদের উদ্দেশে অসমের মুখ্যমন্ত্রীর কটাক্ষ,”শিব সেনার বিধায়করা অসমে এলেন বলে দেশবাসী এখানকার বন্যা সম্পর্কে খবর পেলেন। আমি চাইব, যখনই এথানে বন্যা হবে তখনই যেন এমন বিধায়করা এখানে আসেন। তাহলে অন্তত দেশবাসী জানবেন, অসমে কী ভয়নাক পরিস্থিতি হয়, নয়তো কেউ একটা টুইট করারও প্রয়োজন মনে করেন না।” উল্লেখ্য, ভাঙনের মুখে দাঁড়িয়ে মহারাষ্ট্র জোট সরকার। বিদ্রোহী শিব সেনা বিধায়করা মন্ত্রী একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে অসমে আশ্রয় নিয়েছেন। তারপর থেকে বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
এদিকে সূত্রের খবর, সরকার গড়ার বিষয় নিয়ে মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশের সঙ্গে দেখা করেছিলেন একনাথ শিন্ডে। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন ফড়ণবীশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.