বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: গোষ্ঠীকোন্দল বা প্রতিষ্ঠানবিরোধী হাওয়া ভোট বাক্সে কোনও প্রভাব ফেলেনি। বরং হারতে হয়েছে কয়েকটি অনামী দল ভোট কেটে নেওয়ায়। তাই অনেক আসনে খুব কম ভোটে হারতে হয়েছে বলে মল্লিকার্জুন খাড়গে ও রাহুল গান্ধীর সামনে যুক্তি দিলেন রাজস্থানের (Rajasthan) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট (Ashok Gehlot)। তাঁর আরও যুক্তি, সে কারণেই বিজেপির সঙ্গে ভোট শতাংশের ফারাক ১ শতাংশের একটু বেশি। গোষ্ঠীকোন্দল বা প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া কাজ করলে কংগ্রেস এত ভোট পেত না। এক্ষেত্রে রিপোর্টে সিপিএমের মতো বাম দলকে দায়ী করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
তাঁর যুক্তি, সিপিএমকে দুটি আসন ছাড়লেই ফল ভাল হত। কিন্তু এই বাম দলটি দুটি আসন নিতে রাজি হয়নি। তারা আরও চারটি আসন দাবি করে। ফলে সমঝোতা হয়নি বলে জানান গেহলট ও পাইলট। অন্যদিকে, মিজোরামে আসন কমে যাওয়ার পিছনে দলের সাংগাঠনিক দুর্বলতা ছিল বলে স্বীকার করেছে নেতৃত্ব। শুক্রবার মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ের পর শনিবার রাজস্থান, মিজোরামের নেতৃত্বের সঙ্গে বিধানসভা ভোট ফলাফলের পর্যালোচনা করে কংগ্রেস।
বৈঠকে রাজস্থানের দুই শিবিরের নেতা অশোক গেহলট ও শচীন পাইলট হাজির ছিলেন। এআইসিসি সূত্রে খবর, পরাজয়ের যুক্তি সাজিয়ে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট নিয়ে আসেন গেহলট। সেখানে বলা হয়েছে, কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা দলকে জেতাতে প্রাণপাত করলেও কিছু দুর্বলতার জন্যই ভোট শতাংশ কমেছে। যেমন ছোট দলগুলির সঙ্গে সমঝোতার ক্ষেত্রে সমস্যা ছিল। তারা ভোট কাটুয়ার কাজ করেছে। কিন্তু তাদের জনসমর্থন এতটাই কম যে, আসন সমঝোতা করা হয়নি। এদিন বৈঠকে বিধানসভা ভিত্তিক রিপোর্ট জমা দেয় রাজস্থান প্রদেশ কংগ্রেস। সূত্রের খবর, রিপোর্টে লোকসভা ভোটে গত দুবারের তুলনায় দল অনেক ভালো ফল করবে বলেও দাবি করা হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.