Advertisement
Advertisement

Breaking News

Asaduddin Owaisi

‘ঘৃণার রাজনীতি বিজেপির’, হায়দরাবাদের নাম বদল নিয়ে তোপ ওয়েইসির

হায়দরাবাদ হবে ভাগ্যনগর, তেলেঙ্গানা সফরে বলেন যোগী।

Asaduddin Owaisi's response on renaming Hyderabad | Sangbad Pratidin
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:November 27, 2023 7:50 pm
  • Updated:November 27, 2023 7:50 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তেলেঙ্গানায় (Telangana) নির্বাচনের মুখে মেরুকরণের রাজনীতিতে জোর বিজেপির (BJP)। গতকাল হায়দরাবাদ (Hyderabad) সফরে যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) বলেন, ক্ষমতায় এলে হায়দরাবাদের নাম হবে ভাগ্যনগর। সোমবার এর প্রতিবাদে ফুঁসে উঠলেন এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। তিনি বলেন, “শহরে নাম বদলের ষড়যন্ত্র আসলে ঘৃণার রাজনীতি।”

এর আগে ২০২০ সালে পুরসভার ভোটপ্রচারে হায়দরাবাদে গিয়েছিলেন আদিত্যনাথ। সেই সময়েও হায়দরাবাদকে ভাগ্যনগরে পরিণত করতে মানুষকে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এবারও একই কথা বলেন। জবাবে ওয়েইসি বলেন, “প্রথমত, ওদের প্রশ্ন করুন, ভাগ্যনগর কোথা থেকে এল? কোথায় লেখা আছে। তোমরা হায়দরাবাদকে ঘৃণা করো তাই নাম বদলের রাজনীতি করতে চাও। হায়দরাবাদ আমাদের আত্মপরিচয়। নাম বদলের প্রশ্ন উঠছে কেন? ওরা আসলে ঘৃণার রাজনীতি করছে।” এ ধরনের বক্তব্য যে বিজেপির মেরুকরণের রাজনীতি, তাও মনে করিয়ে দেন এআইএমআইএম নেতা। আরও বলেন, “হায়দরাবাদ তথা তেলেঙ্গনার মানুষ মুখের উপর জবাব দেবে।”

Advertisement

 

[আরও পড়ুন: রক্ত জমানো ঠান্ডায় বৃষ্টির ভ্রূকুটি, উত্তরকাশীতে শ্রমিক উদ্ধারে এবার প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই]

প্রসঙ্গত, আরএসএস এবং বিজেপির বিভিন্ন সারির নেতারা হায়দরাবাদের নাম বদলে ভাগ্যনগর করার দাবি তুলছেন দীর্ঘ দিন ধরেই। ২০২০ সালে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পুরভোটের আগে হায়দরাবাদ সফরে গিয়েছিলেন। তিনি ভাগ্যলক্ষ্মী মন্দিরে যান। বিজেপি নেতাদের মতে, ভাগ্যলক্ষ্মী নামকরণ হয়েছে ভাগ্যনগর থেকে। এমনও বলা হয় যে, হায়দরাবাদের আসল নাম ভাগ্যনগর।

 

[আরও পড়ুন: ঘর পরিষ্কার করতে বলেছিলেন স্বামী, কামড়ে কান ছিঁড়ে নিলেন স্ত্রী

চারমিনারের দক্ষিণ-পূর্বের মিনার লাগোয়া এই ভাগ্যলক্ষ্মী মন্দিরটি। আকারে ছোট। কিন্তু বিতর্কে বড়। বাঁশের খুঁটি এবং ত্রিপল, টিনের ছাদ মন্দিরের। মন্দিরের বয়স কত, সেই প্রশ্নের স্পষ্ট কোনও জবাব নেই। কারণ, এর নির্দিষ্ট কোনও ইতিহাস নেই। তবে, অন্তত ১৯৬০ সাল থেকে এটি রয়েছে এখানে। এখন যে বিগ্রহ, সেটি সেই সময়ে প্রতিষ্ঠা করা হয় বলে বলছেন অনেকে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement