সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নতুন কৃষি বিলের বিরোধিতায় দেশজুড়ে বিক্ষোভ চলছে। এর প্রতিবাদে শুক্রবার ভারত বন্ধের ডাকও দিয়েছেন পাঞ্জাবের কৃষকরা। বিক্ষোভ হচ্ছে হরিয়ানা ও বিহার-সহ অন্যান্য রাজ্যে। এই পরিস্থিতির মধ্যে দাঁড়িয়ে শুক্রবার পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের ১০৪তম জন্মবার্ষিকীতে নাম না করে বিরোধীদের আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কৃষি বিল (farm bill) নিয়ে মানুষকে ভুল বোঝানো হচ্ছে বলেও দাবি করলেন।
The new labour reforms will transform the lives of our labour force. Till now, only 30% of the workers across the country were covered under the minimum wage guarantee scheme. Now, it will expand to workers of all the industries in the unorganised sector: PM Narendra Modi pic.twitter.com/lP8COIOpHd
— ANI (@ANI) September 25, 2020
শুক্রবার একটি ভারচুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জনসংঘের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতার নামে পণ্ডিত দীনদলায় উপাধ্যায় গ্রামীণ কৌশল্যা যোজনা’র (Deen Dayal Upadhyaya Grameen Kaushalya Yojana) সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তারপরই পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করে বিজেপি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘পণ্ডিত দীনদয়ালজির সংস্পর্শে আসার সুযোগ হয়নি আমার। কিন্তু, ওঁনার আদর্শ ও চিন্তাভাবনা আমাকে প্রতি মুহূর্তে অনুপ্রেরণা জোগায়। তিনি অত্যন্ত দূরদর্শী ছিলেন। ২১ শতকের ভারতকে বিশ্বের সামনে প্রতিষ্ঠিত করায় তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য। স্বাধীন ভারতের রূপরেখা তৈরির সময় যখন বিদেশি নীতি ও আদর্শকে অনুসরণ করা হচ্ছিল তখন দেশের সংস্কৃতির উপরই জোর দিয়েছিলেন তিনি। ভারতের রাষ্ট্রনীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতি ও রাজনীতি, সব কিছু নিয়ে লিখেছিলেন দীনদয়ালজি। রাষ্ট্র এবং সমাজ হিসেবে ভারতকে উন্নত করে তোলার ক্ষেত্রে দীনদয়ালজির ভূমিকা আমাদের আজও অনুপ্রেরণা জোগায়। পণ্ডিতজির আদর্শ অনুসরণ করে দরিদ্র ও সাধারণ মানুষের সেবায় নিরন্তর কাজ করে চলেছেন আপনারা। করোনা মহামারী মধ্যেও সাধারণ মানুষের সেবায় নিযুক্ত রয়েছেন। দীনদয়াল উপাধ্যায়ের জন্মবার্ষিকীতে দেশজুড়ে থাকা বিজেপির সেই সমস্ত কর্মঠ কর্মকর্তাদের শুভেচ্ছা জানাই।’
কৃষি বিল প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে বহু যুগ ধরে কৃষক ও শ্রমিকদের নামে প্রচুর স্লোগান দেওয়া হয়েছে। অনেক বড় বড় ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু, সেসব যে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি ছিল, তা বুঝতে পেরেছিলেন মানুষ। বিভিন্ন ক্ষেত্রে করের বোঝা বাড়লেও কৃষকদের আয় বাড়েনি। তবে বিজেপির নেতৃত্বে এনডিএ সরকার তাঁদের কথা ভেবেছে। আগের চেয়ে দেড়গুণ বেশি সহায়ক মূল্য তুলে দিয়েছে তাঁদের হাতে। ব্যাংকের সঙ্গে কৃষকদের সরাসরি সংযোগ স্থাপন করতে সচেষ্ট হয়েছে। কিন্তু, এতদিন যারা মিথ্যে প্রতিশ্রতি দিয়ে কৃষকদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করে রেখেছিল তারাই আজ সরকারি নীতি সম্পর্ক কৃষক ও সাধারণ মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। তাঁদের কাঁধে বন্দুক রেখে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করতে চাইছে। বিজেপির নেতা-কর্মীদের এর বিরুদ্ধে সরব হতে হবে। আসল সত্যিটা মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে।’
All BJP Karyakartas should reach out to the farmers on the ground and inform them in very simplified language about the importance and intricacies of the new farm reforms, how these will empower them. Our ground connect will bust the propaganda being spread in the virtual world. pic.twitter.com/LuofRKzL5d
— BJP (@BJP4India) September 25, 2020
কৃষকদের মতো শ্রমিকদেরও দীর্ঘদিন ধরে আইনের মারপ্যাঁচে আটকে রাখা হয়েছিল বলেও আজ অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বলেন, ‘চাষ, নির্মাণ, সংবাদমাধ্যম ও সিনেমা তৈরিতে যুক্ত শ্রমিকদের জন্য আলাদা আইন ছিল। এর ফলে বিচারের আশায় দিনের পর দিন ধরে তাঁদের আদালতের চক্কর কাটতে হত। চারটি লেবার কোডের মাধ্যমে তাঁদের সেই গোলোকধাঁধা থেকে বার করে আনায় সচেষ্ট হয়েছি আমরা।আগের চেয়ে সরল ও সোজা করা হয়েছে শ্রমিক আইন। এর মাধ্যমে ভারতের ৫০ কোটি শ্রমিকরা যাতে সময়ে বেতন পান তা আইনি পথে সুনিশ্চিত করতে চেয়েছি আমরা। এত দিন দেশের ৩০ শতাংশ শ্রমিকরা ন্যূনতম বেতন পেতেন। আগামী দিনে অসংগঠিত ক্ষেত্রে নিযুক্ত সমস্ত শ্রমিকরাও তা পাবেন। নিয়মিত বেতন পাবেন ঠিকা শ্রমিকরাও। আগের মতো যতক্ষণ খুশি তাঁদের দিয়ে কাজ করিয়ে নেওয়া যাবে না।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.