সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের রেশ এখনও কাটেনি। বিধ্বস্ত এলাকাগুলোর স্বাভাবিক ছন্দে ফেরা এখনও কিছুটা সময়ের অপেক্ষা। তার মধ্যেই আরও এক ঘূর্ণিঝড়ের আগমনবার্তা দিল আবহাওয়া দপ্তর। দিল্লির হাওয়া অফিসের ‘ট্রপিক্যাল সাইক্লোন’-এর তালিকায় যদিও এর নাম নেই। তবে চিন সাগরে তৈরি হওয়া ‘নাকরি’ নামের ঘূর্ণিঝড় চোখ রাঙাচ্ছে।
যে ঘূর্ণাবর্ত থেকে বুলবুলের জন্ম হয়েছিল, তার নাম ছিল মাটমো। এই মাটমোর উত্সস্থল ছিল দক্ষিণ চিন সাগর। তা বুলবুল হয়ে ব্যাপক ক্ষতি করেছে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ বেশ কিছু অঞ্চলে। আবহাওয়াবিদদের মতে, ওই একই ধরনের আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হচ্ছে দক্ষিণ চিন সাগরে। নাম ‘নাকরি’। মৌসম ভবন সূত্রে খবর, আপাতত যথেষ্ট শক্তি রয়েছে এই ঘূর্ণাবর্তের। তা ধীরে ধীরে এগোচ্ছে ভিয়েতনামের দিকে। এর প্রভাবে ভিয়েতনামের উপকূলে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা।
তবে তারপর এই ঝড় শক্তিক্ষয় করবে। ফের পরিণত হবে ঘূর্ণাবর্তে। এরপর দক্ষিণ থাইল্যান্ড অতিক্রম করে মায়ানমারের দক্ষিণ ভাগে এসে পৌঁছবে ওই ঘূর্ণাবর্ত। তখনও এই ঘূর্ণাবর্তের শক্তি অনেক কম থাকবে। ভারী বৃষ্টিতেই শেষ হয়ে যাবে তার শক্তি।
মায়ানমারের পর ফের একবার বঙ্গোপসাগরের এসে শক্তি সঞ্চয় করতে পারে ঘূর্ণাবর্ত। ১৪ নভেম্বর তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। আবহাওয়াবিদদের আশঙ্কা এখানেই। এই শক্তি নিয়ে এগোলে ফের বিপদ ঘনাতে পারে অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশায়। তবে তা কবে ভারতে আছড়ে পড়বে, সে সম্পর্কে কোনও তথ্য দেয়নি মৌসম ভবন।
বুলবুলের দাপটে মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু এলাকায়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দুই ২৪ পরগনার সুন্দরবন, সন্দেশখালি-সহ পূর্ব মেদিনীপুর সমুদ্র তীরবর্তী একাধিক অঞ্চল। সোমবার হেলিকপ্টার পরিদর্শনের সময় মুখ্যমন্ত্রীর চোখে পড়ে, ব্যাপকভাবে শাক-সবজির ক্ষতি হয়েছে। বহু ঘরবাড়ি নষ্টের ছবিও তিনি দেখেন। ধান ও পানের বরোজের ক্ষতি হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি পুনর্নির্মাণ করে দেওয়া হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের প্রয়োজনীয় সাহায্য দেওয়া হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.