সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির পরে পাঞ্জাব। দেশের দু’টি রাজ্যে এখন ক্ষমতায় আম আদমি পার্টি। এবার তাদের লক্ষ্য গুজরাট (Gujarat)। এই বছরই নির্বাচন রাজ্যে। আপাতত সেটাকেই পাখির চোখ করছেন কেজরিওয়ালরা। আর তাই এবার গুজরাটে হাজির দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) এবং পাঞ্জাবের নব নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী ভগবত মান। শনিবারই তাঁরা পৌঁছে গিয়েছেন রাজ্যে। সবরমতী আশ্রমে গিয়ে চরকাও কাটতে দেখা গেল তাঁদের।
দু’দিনের সফরে রাজ্যে এসেছেন দুই মুখ্যমন্ত্রী। আর প্রথম দিনই তাঁরা গেলেন সবরমতী। এছাড়াও ২ কিলোমিটারের ‘তিরঙ্গা যাত্রা’ ও আরও নানা পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। তবু প্রথম দিনই সবচেয়ে বেশি আলোচনায় কেজরিওয়ালের চরকা কাটার দৃশ্যই। ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর নিজের হাতে চরকা কাটার দৃশ্য।
আশ্রমের ভিজিটর বুকে তিনি লেখেন, ”এই আশ্রম একটি আধ্যাত্মিক স্থান। এখানে এলে মনে হয় গান্ধিজির (Mahatma Gandhi) আত্মা এখানেই রয়েছেন। এখানেই এলেই একটা আধ্যাত্মিক অনুভূতি হয়। গান্ধীজি যে দেশে জন্মেছেন, সেই দেশে আমিও জন্মেছি একথা ভাবলে আমার নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে হয়।”
উল্লেখ্য়, এর আগে এই আশ্রমে এসে চরকা কাটতে দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদিকেও (PM Modi)। যদিও এদিন কেজরিওয়াল বলেছেন, এখানে দাঁড়িয়ে তিনি রাজনীতি নিয়ে কোনও আলোচনা করতে চান না। তবুও প্রশ্ন উঠছে, ডিসেম্বরের নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে গান্ধির আবেগকে উসকে দিতেই কি তাঁর এদিনের সবরমতীতে আসা এবং চরকা কাটা?
गांधी बनने के लिए कई जन्मों की तपस्या करनी पड़ती है। चरख़ा कातने की ऐक्टिंग करने से कोई गांधी नहीं बन जाता, बल्कि उपहास का पात्र बनता है https://t.co/rIDqQM3IUW
— Arvind Kejriwal (@ArvindKejriwal) January 12, 2017
যদিও ২০১৭ সালে ক্যালেন্ডারে গান্ধীর ছবি সরিয়ে মোদির চরকা কাটার ছবি লাগানোর সময় কেজরিওয়াল প্রতিবাদ করেছিলেন। তিনি টুইটারে লিখেছিলেন, ”গান্ধী হতে গেলে কয়েক জন্মের তপস্যা লাগে। চরকা কাটার অভিনয় করলেই কেউ গান্ধী হয়ে যায় না। বরং উপহাসের পাত্র হতে হয়।” সেই সময় একথা লিখলেও এবার তাঁকেই চরকা কাটার ছবি তুলতে দেখা গেল। যা নতুন করে মনে করিয়ে দিল, রাজনীতিতে এমন ভোলবদল স্বাভাবিক এবং এভাবেই ফিরে ফিরে আসে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.