ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের ইতিহাসে প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। কিন্তু তার পরও ইস্তফা দেননি। বরং জেলে বসেই সামলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব। আপাতত ১ জুন পর্যন্ত তিনি জামিনে মুক্ত। এই পরিস্থিতিতে অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানালেন, কেন তিনি পদত্যাগ করেননি। দাবি করলেন, তিনি সরে গেলে বিষয়টা গোটা দেশের গণতন্ত্রকেই বিপন্ন করত।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময়ই এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত কথা বলেন কেজরি। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ”এটাই তো নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) চাইছিলেন। উনি জানতেন উনি কেজরিওয়ালকে নির্বাচনে হারাতে পারবেন না। আর সেই কারণেই এমন মতলব কষেছেন। কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করো, ওর সরকার পড়ে যাবে। আর তার পর ভোট নাও, বিজেপি জিতে যাবে। আজ আমি ইস্তফা দিলে কাল ওদের টার্গেট হবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কেরলের পিনারাই বিজয়ন, তামিলনাড়ুর এম কে স্টালিন। আমি আজই পদত্যাগ করলে দেশের গণতন্ত্র বড়সড় সংকটে পড়ে যাবে।” সেই সঙ্গেই আপ সুপ্রিমোর দাবি, তিনি মোদিকে দেখিয়ে দেবেন, জেলে বসে বসেই সরকার চালানো যায়।
কিন্তু পদে থাকা নিয়ে তাঁর কোনও আসক্তি নেই বলেও দাবি কেজরিওয়ালের। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, ”আমি দিল্লির বসতি অঞ্চলে আয়করের ম্যানেজার পদে ছিলাম। সেই চাকরি ছেড়ে দিয়েছিবাম। ৪৯ দিন মুখ্যমন্ত্রী থাকার পরও ইস্তফা দিই। কিন্তু আজ আমি ইস্তফা দিচ্ছি না, কেননা এটা আমার লড়াইয়েরই অংশ। আমি কোনও ভাবেই ইস্তফা দেব না। ওরা তো জনস্বার্থে মামলাও করেছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট বলে দিয়েছে, আমাকে জোর ইস্তফা দিতে বাধ্য করা যাবে না।”
গত ২১ মার্চ আবগারি মামলায় দুর্নীতির অভিযোগে কেজরিওয়ালকে (Arvind Kejriwal) নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল ইডি (ED)। সপ্তাহদুয়েক পরে তাঁকে পাঠানো হয় তিহাড় জেলে। পরে তাঁর অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করে শীর্ষ আদালত। আগামী ২ জুন আবার জেলে ফিরে যেতে হবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.