সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক সময় অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে (Arvind Kejriwal) বিজেপির ‘বি টিম’ বলে মনে করত কংগ্রেস। বস্তুত আম আদমি পার্টির জন্মই হয়েছিল কংগ্রেস আমলের দুর্নীতির প্রতিবাদ করে। সাম্প্রতিক অতীতেও কংগ্রেসের সঙ্গে দিল্লির শাসকদলের সরাসরি সংঘাত একাধিকবার দেখা গিয়েছে। কিন্তু ২০২৪-এর লোকসভার আগে সেই সব অতীত ভুলে যেতে চাইছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা করে ইন্ডিয়া (INDIA) জোটের সঙ্গী হয়ে ভেসে থাকতে মরিয়া দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।
ইন্ডিয়া জোটের আসন সমঝোতার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চিন্তা যে রাজ্যগুলোতে, সেই রাজ্যগুলোর মধ্যে সবার উপরের সারিতে নাম রয়েছে দিল্লির। লোকসভায় দিল্লিতে ৭ আসন। এই মুহূর্তে ৭ আসনেই বিজেপির (BJP) সাংসদ। বিধানসভায় আবার উলটো ছবি। সর্বশেষ নির্বাচনে কার্যত একচ্ছত্রভাবে দিল্লির মসনদ দখল করেছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কংগ্রেসের না বিধানসভায় কোনও প্রতিনিধি রয়েছে, আর না লোকসভায়। অথচ, দিল্লির রাজনীতিতে কার্যত ‘শূন্য’ হয়ে যাওয়া সেই কংগ্রেসকে (Congress) প্রায় অর্ধেক আসন ছাড়তে রাজি আম আদমি পার্টি।
এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পওয়ার বুধবার এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, “অরবিন্দ কেজরিওয়াল কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতায় ভীষণভাবে আগ্রহী। তিনি চান, আমরা কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা শুরু করি। কেজরিওয়াল দিল্লিতেই কংগ্রেসের জন্য ৩টি আসন ছাড়তে চান। ৭টি আসনের মধ্যে ৪টি পর্যন্ত কংগ্রেসকে ছাড়তে রাজি তিনি।” অর্থাৎ কার্যত শূন্য হয়ে যাওয়া দলকে প্রায় ৪০ শতাংশ আসন ছাড়তে নারাজ দিল্লির শাসকদল।
কিন্তু কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতার স্বার্থে কেন এত মরিয়া কেজরিওয়াল? আসলে এই মুহূর্তে আম আদমি পার্টির একাধিক নেতা কেন্দ্রীয় এজেন্সির রেডারে। ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার হয়েছেন দিল্লির আপ সরকারের একাধিক নেতা। গ্রেপ্তারির তালিকায় সর্বশেষ নাম সাংসদ সঞ্জয় সিং। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, বিজেপির এই ‘প্রতিহিংসা’ এবং ‘দাদাগিরি’র বিরুদ্ধে লড়তে জাতীয় দলকে সঙ্গী হিসাবে চাইছেন অরবিন্দ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.