ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের ইতিহাসে প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। লাগাতার চাপের মুখেও পদ ছাড়েননি। জেলে বসেই সামলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব। অবশেষে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পরে অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানালেন, কেন পদ থেকে ইস্তফা দেননি তিনি। উল্লেখ্য, আগামী ১ জুন পর্যন্ত আপ সুপ্রিমোকে জামিন দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।
গত ২১ মার্চ আবগারি মামলায় দুর্নীতির অভিযোগে কেজরিওয়ালকে (Arvind Kejriwal) নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল ইডি (ED)। সপ্তাহদুয়েক পরে তাঁকে পাঠানো হয় তিহাড় জেলে। ইডির গ্রেপ্তারির বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতে মামলা করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আইনজীবীদের দাবি ছিল, নির্বাচনী প্রচার থেকে কেজরিকে আটকাতেই ইচ্ছাকৃতভাবে জেলে পাঠানো হয়েছে। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই গত শুক্রবার কেজরির ২১ দিনের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করে শীর্ষ আদালত। আগামী ২ জুন আবার জেলে ফিরে যেতে হবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে।
জেল থেকে বেরিয়েই শনিবার হনুমান মন্দিরে যান কেজরিওয়াল। বিকেলের দিকে দুটি রোড শো করে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন। আগামী ২৫ মে দিল্লিতে ভোট রয়েছে (Lok Sabha Election 2024)। সেটাকেই ‘পাখির চোখ’ করে লাগাতার কর্মসূচি করছেন আপ সুপ্রিমো। কেবল দিল্লি নয়, হরিয়ানা ও পাঞ্জাবেও যাবেন কেজরিওয়াল। মনে করা হচ্ছে, আপ সুপ্রিমোর জেলমুক্তি হয়তো আপ তথা ইন্ডিয়া জোটের প্রচারকে নয়া অক্সিজেন দেবে। তা অচিরেই টার্নিং পয়েন্ট হয়ে উঠতে পারে বলে মত ওয়াকিবহাল মহল।
তবে প্রচারে নেমেই নিজের গ্রেপ্তারিকে ইস্যু করে বিজেপিকে তোপ দেগেছেন আপ সুপ্রিমো। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “একটা ভুয়ো মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছিল আমাকে। তার পর বারবার চাপ দেওয়া হয়েছে আমি যেন মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দিই। কিন্তু এই পদটা আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই ষড়যন্ত্রের চাপে পড়ে পদ ছেড়ে দিইনি।” কেজরির মতে, প্রধানমন্ত্রী যদি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে চান তাহলে আপের থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত। কারণ দুর্নীতিতে জড়িত থাকলে নিজের দলের নেতামন্ত্রীদেরও জেলে ভরতে দ্বিধা করে না আপ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.